আজ কলকাতায় হাসিনা-মমতা বৈঠক আলোচনায় সীমান্ত, তিস্তা ও এনআরসি ইস্যু
প্রকাশিত:
২২ নভেম্বর ২০১৯ ২২:৪২
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৫১

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: আজ শুক্রবার থেকে কলকাতার ইডেন উদ্যানে শুরু হচ্ছে ভারত ও বাংলাদশে মধ্যে দিন রাতের গোলাপি ক্রিকেট টেষ্ট। যে টেষ্ট ঘিরে মুখোমুখি দেখা হতে চলেছে বংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে ইডেনে বসতে চলেছে চাঁদের হাট। যেখানে উপস্থিত থাকবেন বিশ্বনাথন আনন্দ, লিয়েন্ডার পেজ, সানিয়া মির্জাসহ ২০০০ সালে ভারত ও বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট ম্যাচ টিমের প্লেয়াররাসহ আরো অনেকে।
বৃহস্পতিবার বিকালে মমতা বলেন, “ইতিমধ্যে শেখ হাসিনা আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি তাকে আজ ইডেনে একসাথে বসে খেলা দেখার কথা বলেছি। শুধু ইডেনে বসে একসঙ্গে খেলা দেখা নয়, আগামিকাল মোট ৩ বার তার সঙ্গে দেখা হবে আমার।” ইডেনে খেলা দেখা ছাড়াও আজ শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি কূটনৈতিক বৈঠকও করবেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকটি আজ সন্ধ্যা ৬ টায় দক্ষিন কলকাতার তাজ বেঙ্গল হোটেলে হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, মমতার সঙ্গে হাসিনার এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ওঙ্কেই। কূটনৈতিক দিক থেকে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, এর আগে শেখ হাসিনা যখন দিল্লিতে এসেছিলেন তখন ফোনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর। সেইসময় তিস্তার পানি বন্টনের বিষয়টি নিয়ে কথা হয় দুজনে। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ তিস্তার পানি পাওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই বিষয়টি অমীমাংসিত হয়ে রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন বাংলাদেশে গিয়েছিলেন, তখন তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, তিস্তার পানি বাংলাদেশকে দেওয়া হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। সেক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিস্তার পানি বাংলাদেশকে দেওয়ার ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বারই আপত্তি জানিয়ে এসেছেন। এরফলে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে পানির সমস্যা হয়ে যাবে বলে বার বার সরব হয়েছেন তিনি। ফলে বিষয়টি এখনও ঝুলে রয়েছে।
আজকের বৈঠকে তিস্তার পানি বন্টনের বিষয়টি উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, আরও যে দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তার একটি হল এনআরসি ইস্যু ও অন্যটি সীমান্ত সমস্যা। দিল্লিতে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী শেখ হাসিনাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে বাংলাদেশে কাউকে পাঠানো হবে না। ইতিমধ্যে গতকালই ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সারাদেশে এনআরসি হবে বলে ঘোষণা করেছেন। তাই এনআরসি ইস্যুতে কথা হতে পারে মমতার সঙ্গে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা নিয়েও কথা হত পারে এই বৈঠকে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ভারতীয় মৎস্যজীবীদের আটক করে নিয়ে যায় বিজিবি। তাঁদের উদ্ধারে গিয়ে বিজিবির সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় এক বিএসএফ জওয়ানের। একজন মৎস্যজীবী এখনও বিজিবির হাতে আটক। বৈঠকে উঠতে পারে সেই প্রসঙ্গও। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সংশোধনাগারে বেশ কিছু বাংলাদেশি রয়ে গিয়েছে। তাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়েও কথা হতে পারে বৈঠকে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: