অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে ঢাকার বায়ু দূষণ: পরিবেশ মন্ত্রী


প্রকাশিত:
২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:২৮

আপডেট:
২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:০৬

অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে ঢাকার বায়ু দূষণ: পরিবেশ মন্ত্রী

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ঢাকা শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকার বায়ু ও শব্দ দূষণ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মূলত তিন কারনে এ বায়ু দূষণ হচ্ছে। সেগুলো হলো, রাজধানীর আশেপাশের ইটভাটা, ইচ্ছা অনুযায়ী নির্মাণ কাজ ও মোটরযানের ধোঁয়া। গত আট বছর ধরে এই তিন উৎস ক্রমেই বাড়ছে। ফলে বায়ু দূষণ মোকাবিলায় দূষণের উৎস বন্ধ করে শহরের বিভিন্ন স্থানে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি ঢাকার চারপাশের জলাশয়গুলোকে রক্ষা করতে হবে। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অবকাঠমো ও বিভিন্ন কাজে সমন্বয় করা প্রয়োজন।

সরকারি-বেসরকারি অবকাঠমো ও বিভিন্ন কাজে সমন্বয় করা প্রয়োজন উল্লেখ করে শাহাব উদ্দিন বলেন, ইউটিলিটি সার্ভিসের কাজের জন্য বিভিন্ন সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেস-হাইওয়েসহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের বায়ুদূষণের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভবন নির্মাণের সময় পানি ছিঁটানো, নির্মাণ সামগ্রী যত্রতত্র ফেলে না রাখা ও নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্ধারিত বেষ্টনির মধ্যে আছে কিনা সেটি দেখতে হবে।

শাহাব উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে বায়ু দূষণের উৎস নিয়ে চলতি বছরের মার্চে একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংক। তাতে দেখা যায়, দেশে বায়ু দূষণের প্রধান তিনটি উৎস হচ্ছে- ইটভাটা, যানবাহনের কালো ধোঁয়া ও নির্মাণকাজ। আট বছর ধরে এ তিন উৎস ক্রমেই বাড়ছে।

২০১৩ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে দেশের ইটভাটাগুলোর ওপর একটি জরিপ করা হয়। তাতে দেখা যায়, দেশে ইটভাটার সংখ্যা ৪ হাজার ৯৯৫টি। ২০১৮ সালে পরিবেশ অধিদফতরের জরিপে দেখা যায়, ইটভাটার সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৯০২টি হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৮৭টি ইটভাটা ঢাকা বিভাগের মধ্যে গড়ে উঠেছে। ওই গবেষণার তথ্যানুযায়ী, ২০১০ সালে দেশে মোট যানবাহনের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৭। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ১৯ হাজার ৬৫৪।

মন্ত্রী আরও বলেন, ভবন ও অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ উন্মুক্তভাবে করার ফলে শহরের বাতাসে ধুলাবালির পরিমাণ বাড়ছে। ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান এবং বড় বড় অবকাঠামোর উন্নয়ন প্রকল্পসমূহকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top