বাসচাপায় দিয়া-রাজীবের মৃত্যু, মামলার রায় আজ
প্রকাশিত:
১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:৫৪
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০১:২৩

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী বেপরোয়া বাসচাপায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিবের মৃত্যুর ঘটনার মামলার রায় আজ রোববার।
গত ১৪ নভেম্বর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন।
এ মামলার ছয় আসামির মধ্যে জাবালে নূর পরিবহনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং তাদের সহকারী এনায়েত হোসেন কারাগারে।
জাবালে নূর পরিবহনের আরেক মালিক শাহাদাত হোসেন জামিনে রয়েছেন। তার পক্ষে মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। আর চালকের সহকারী কাজী আসাদ এখনও পলাতক।
রায় নিয়ে নিহত দিয়ার বাবা বলেন, এটা সড়ক দুর্ঘটনা নয়। অদক্ষ ড্রাইভার (চালক) আমার মেয়েকে ইচ্ছাকৃতভাবে চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। তাই এটা দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকাণ্ড। গাড়ি একটু স্লো করলে মেয়েকে হারাতে হতো না। তাকে হারিয়ে আজ আমি নিঃস্ব। মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে এমন রায় চাই। মামলার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই বলে বিলাপ করতে থাকেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর হোটেল র্যা ডিসনের বিপরীত পাশের জিল্লুর রহমান উড়ালসড়কের ঢালের সামনের রাস্তার ওপর জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাস রেষারেষিতে একটি বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের ওপর উঠে পড়ে। এতে দুই শিক্ষার্থী নিহত ও নয়জন আহত হয়। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীমের বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করেন।
তদন্ত শেষে দুই মাস পর ৬ সেপ্টেম্বর ছয় জনের বিরুদ্ধে ডিবির পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম আদালতে মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। চার্জশিটে বাসের চালক ও হেলপারদের সহযোগিতায় পাল্লাপাল্লি ও রেষারেষি করে বেশি যাত্রী, বেশি ভাড়া পাওয়ার লোভে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বাস চালায় বলে উল্লেখ করা হয়। তবে চার্জশিটের কোথাও লাইসেন্সবিহীন চালক নিয়োগ দেয়ার মূল হোতাদের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: