বুয়েটে র্যাগিং ও রাজনীতি সংশ্লিষ্টতা থাকলেই বহিষ্কার
প্রকাশিত:
৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:১৯
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০১:৩০

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: র্যাগিংয়ের কারণে কোনো ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ প্রমাণিত হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অভিযুক্ত ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার করবে। এ ছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন।
গতকাল (২ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমানের সাক্ষরে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবিষ্যতে র্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের এবং সাংগঠনিক রাজনীতির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িতদের অভিযোগসমূহ মূল্যায়ন ও শাস্তি নির্ধারণ বিষয়ে গঠিত কমিটির রিপোর্টের আলোকে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বুয়েটে কেউ সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি করলে সর্বোচ্চ সাজা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার।
এদিকে সোমবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটির মধ্যদিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সকল দাবি পূর্ণ হলো। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন আবরার হত্যাকাণ্ডে বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সেসময় উপাচার্যকে তিন দফা দাবি পূরণ হলে ২৮ ডিসেম্বর থেকে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত আছেন বলেও জানান তারা।
গত ৬ অক্টোবর বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। গত ২৭ নভেম্বর বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি পূরণ হলে আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন। এবার এই নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবিই পূরণ হয়েছে বলে মনে করে বুয়েট প্রশাসন।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: