বাংলার ছাত্রী, তাই আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা মাথায় আসেনি: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:১৬

আপডেট:
৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:০৫

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: বাংলার ছাত্রী, আইন না পড়ায় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব এতদিন মাথায় আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই প্রধান বিচারপতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিগগিরি স্বতন্ত্র আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৯’ র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

এর আগে জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৯ এ সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রস্তাব করেন যে, দেশে বঙ্গবন্ধু আইন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া প্রয়োজন। সেটা হবে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় হলে সেখান থেকে দক্ষ বিচারক পাওয়া যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুু আইন বিশ্ববিদ্যালয়-সংক্রান্ত প্রধান বিচারপতির প্রস্তাবটি আমার খুব ভালো লেগেছে। এটা একটা নতুন প্রস্তাব। অনেক বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, এটা হবে না কেন?

প্রধানমন্ত্রী এ সময় আইনমন্ত্রীকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে যা যা করণীয় তা করে ফেলেন। আমি বঙ্গবন্ধু আইন বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৯ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রস্তাব মেনে নেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক ও মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সরোয়ার। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার জেনারেল মোহাম্মদ আলী আকবর।

সবারই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি রাষ্ট্র পরিচালনায় আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর সকল নাগরিক যাতে আইগত সহায়তা পায় সেজন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা- ন্যাশনাল লিগাল এইড সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিশেষ করে দরিদ্র ও নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, নুসরাত (ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী) হত্যাসহ অনেক মামলার রায় দ্রুত ঘোষণায় আমি মনে করি বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে। জাতির পিতার হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে অনেক বাধা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, বাধা সত্ত্বেও আমরা এসব মামলার বিচার করতে সক্ষম হয়েছি।

সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্টের বিচারপতি এবং সারাদেশ থেকে আগত বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top