নারীরা এখন সর্বত্র দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:২৭

আপডেট:
১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:১২

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেগম রোকেয়া তার বইয়ে লিখেছিলেন, নারীরা একদিন লেখাপড়া শিখে জজ, ব্যারিস্টার হবে। শুধু জজ-ব্যারিস্টার নয়, নারীরা এখন সর্বত্র দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে সকলক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের জন্যও বিশ্বে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল হয়েছে বলে এসময় মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াসে গড়ে উঠছে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। বেগম রোকেয়া নারী স্বাধীনতার যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, বাংলাদেশ সেই স্বপ্ন পূরণ করে বিশ্ব দরবারে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।

সোমবার সকালে রাজধানীতে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেগম ফজিলাতুনন্নেসা ইন্দিরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন্নাহার।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন মেয়ে যদি আয় করে, তাহলে পরিবারে তার সম্মান থাকে। নারী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে সমাজে তার গুরুত্ব বাড়ে ও সম্মান নিশ্চিত হয়। নারীমুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য নারী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বেগম রোকেয়া এজন্যই নারীদের শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে গেছেন।

‘বর্তমান সরকার নারীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের জন্য জাতীয় কৌশল, নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সনদ ও উন্নয়ন এজেন্ডা অনুযায়ী বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।’ মেয়েদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে ও উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করতে সরকার বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে বলেও জানান তিনি।

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন পাঁচ নারী

বেগম রোকেয়া পদক ২০১৯ পেয়েছেন পাঁচ বিশিষ্ট নারী। পদকপ্রাপ্ত নারী ও তাঁদের পরিবারের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যে পাঁচ বিশিষ্ট নারী রোকেয়া পদক পেলেন তাঁরা হলেন- বেগম সেলিনা খালেক নারীশিক্ষা, নারী অধিকার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে; অধ্যক্ষ শামসুন নাহার নারীশিক্ষায় ও ড. নুরুননাহার ফয়জননেসা (মরণোত্তর) নারীশিক্ষা, নারীর অধিকার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য; পাপড়ি বসু নারীর অধিকার ও বেগম আখতার জাহান নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top