অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন দিনে সরকারি, রাতে বেসরকারি


প্রকাশিত:
১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:৫৮

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০১:৩০

ছবি: সংগৃহীত

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বড় অংকের টাকার বিনিময়ে সান্ধ্যকালীন (ইভিনিং) শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে আসছে। টাকার বিনিময়ে এই সান্ধ্যকালীন শিক্ষা কার্যক্রম ভালো লাগে না বলে জানিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন দিনে সরকারি আর রাতে বেসরকারি চরিত্র ধারণ করেছে। বিশ্বদ্যিালয়গুলো সন্ধ্যায় মেলায় পরিণত হয়। এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। কোনও অভিভাবক তার সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান লাশ হয়ে ফিরে যাওয়ার জন্য নয়। কর্তৃপক্ষ সময় মতো পদক্ষেপ নিলে এ ধরনের ঘটনা অনেকাংশেই রোধ করা যেত। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারে না। ভবিষ্যতে কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ঘটনায় ত্বরিত পদক্ষেপ নিতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) প্রতিনিধিদের কর্মকাণ্ডে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘ডাকসু প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের অসুবিধার বিষয়ে কোনও কথা বলে না; বরং তাদের বিষয়ে এমন সব কথা শুনি, যা আমার ভলো লাগে না। প্রতিনিধিদের উচিত এমন কিছু করা, যা সাধারণ ছাত্রদের কল্যাণে কাজে লাগে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুধু জ্ঞান দেওয়া ও দান করা নয়; বরং বর্ধিত জ্ঞান কাজে লাগানোই আসল কাজ। গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক কাজ। কিন্তু শিক্ষকদের গবেষণা নিয়েও এখন নানা কথা ওঠে। অনেক বিভাগে এখন সহকারী অধ্যাপকের চেয়ে অধ্যাপকের সংখ্যা বেশি।’

শিক্ষকদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মনে রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয় চলে জনগণের টাকায়। সুতরাং এর জবাবদিহিও জনগণের কাছে। উচ্চবিত্ত, নিম্নবিত্ত, মেহনতি খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টার্জিত টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চলে। তাই প্রতিটি টাকা সৎ ও সঠিক পথে ব্যয় করার দায় উপাচার্য ও শিক্ষকদের।’


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top