কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন: নিহত ১, আহত ৩৩
প্রকাশিত:
১২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:০২
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০১:৩০

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে একটি প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছে অন্তত ৩৩ জন। তাদের সবাইর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে বেশিরভাগের শরীরই পুরোপুরি পুড়ে গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও অপারেশন থিয়েটারে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দগ্ধ রোগী ও তাদের স্বজনদের আহাজারিতে ঢামেক হাসপাতালে এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডিউটি অফিসার এরশাদ জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় প্রাইম প্যাক্ট কারখানায়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে ঢামেক হাসপাতালে আসতে থাকে দগ্ধ রোগীরা। শুরুতে ২৩ জনকে ভর্তি করা হয় বার্ন ইউনিটে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মোট ৩৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে ঢামেক হাসপাতালে।
র্যাব-১০ এর মেজর শাহরিয়ার বলেন, আগুনের সূত্রপাত গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে। কারখানায় প্রায় ২০০-২৫০ জন শ্রমিক ছিলেন। একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ২৫ জন।
এদিকে, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আগুনে দগ্ধদের চিকিৎসার তদারকি করছেন। বার্ন ইউনিটে স্থান প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ড, আইসিইউ ও অপারেশন থিয়েটারে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বার্ন ইউনিটে দায়িত্বরত সব ডাক্তার উপস্থিত থেকে তাদের চিকিৎসা করছেন।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক জানান, ঢামেক হাসপাতালে দগ্ধদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না হলে তাদের প্রয়োজনে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হবে।
সরেজমিনে ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বার্ন ইউনিটের বারান্দায় কাঁতরাচ্ছেন দগ্ধ রোগীরা। তাদের বেশিরভাগেরই গোটা শরীর ব্যান্ডেজে মোড়ানো। বাইরে তাদের স্বজনরা আহাজারি করছেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সবাই মেজর দগ্ধ হয়েছেন। আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছি। অনেককেই আইসিইউতে নিতে হবে। তাদের রাতে আইসিইউতে স্থানন্তর করা হবে। ৩৩ জনের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অনেকের ৭০-৯০ শতাংশ শরীর দগ্ধ হয়েছে, কারও ৬০-৭০ শতাংশ। তবে সবার ৩০ শতাংশের বেশি দগ্ধ হয়েছে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: