বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করলে জনগণকে এত খেসারত দিতে হতো না: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত:
১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:০১
আপডেট:
১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৪৭

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আক্ষেপ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হলো এবং লাশ ৩২ নম্বরে পরে থাকলে তখন একটা লোকও এগিয়ে আসার সাহস পেল না? এত বড় সংগঠন এত লোক একটা লোকও সাহস করে দাঁড়ালো না?
তিনি বলেন, এত বড় একটা ঘটনা কেউ জানলো না। কেউ দেখল না, একজনও এগিয়ে এলো না। কেন এমন হলো তার উত্তর আজও আমি পাইনি। দেশের লোক তো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিল। তখন সাহস করে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করলে জনগণকে এত খেসারত দিতে হতো না।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য আন্দোলন করেছেন, জেল খেটেছেন। দেশ স্বাধীন করার পর সাড়ে তিন বছরে দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। এ জাতিকে দারিদ্র্যতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানি এবং এ দেশীয় পাকিস্তানি দোসররা চাননি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সফল হোক। স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে।
জাতির পিতাকে হত্যার পর বারবার ক্যু হয়েছে। ১৮/১৯টা ক্যু হয়েছে এ দেশে। অত্যাচার নির্যাতন চলেছে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর। সেসময় কেউ যদি সাহসকরে দাঁড়াত হয়ত এই অত্যাচার হত না, বারবার ক্যু হত না।
বারবার ক্যু হয়ে দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ সে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে চলে গিয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন, বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে তাদের বসানো হয়েছিল ক্ষমতায়।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমার মাঝে মাঝে অবাক লাগে সে নয়টা মাস, একাকী পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী। একটি বৈরী পরিবেশ, বৈরী আবহাওয়া, সেখানে যেমন গরম তেমন শীত, তাকে কীভাবে রেখেছিল, কী খেতে দিয়েছিল সেটা কল্পনাও করা যায় না। যাকে তারা ফাঁসি দিয়ে হত্যা করবে তাকে তারা কত কষ্ট দিতে পারে সেটা চিন্তা করে দেখেন। কিন্তু তার ভেতরে যে বিশ্বাস ছিল সে আত্মবিশ্বাস তাকে সেই ভাবে দৃঢ় করে রেখেছিল।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: