কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণে বেশি অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৫৭

আপডেট:
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:৫১

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী: দক্ষ এবং যোগ্যতাসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলায় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের জন্য আরও বেশি অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে তারা চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজেরা উদ্যোক্তা হতে পারে।

রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ষষ্ঠ উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উচ্চশিক্ষার জন্য মেডিকেল, প্রকৌশল এবং সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আর্থিক সমস্যায় পড়া দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বৈঠকের আগে শিক্ষাগত সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাবের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যুবসমাজকে দক্ষ এবং যোগ্যতাসম্পন্ন করে তোলার লক্ষ্যে ট্রাস্টের কাছ থেকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হবে। কারণ যাতে তারা চাকরির পেছনে না ঘুরে উদ্যোক্তা হতে পারে।

ট্রাস্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শেখ হাসিনা বলেন, চাকরির পেছনে ছোটার যে আমাদের মানসিকতা সেটার পরিবর্তন করতে হবে। যুবসমাজকে চাকরি করার চেয়ে চাকরি দেওয়ায় মনোযোগী হতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা মেধাবী কিন্তু দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্বাবলম্বী করে তোলার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিবারকে আরও উন্নত করতে শিক্ষাগত সহায়তা প্রদানের জন্য এ ট্রাস্ট গঠন করেছি।

তিনি গণহারে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে দ্বিমত ব্যক্ত করে বলেন, তারা যেন সরকারি ভর্তুকির ওপর নির্ভরশীল হয়ে না পড়ে। উপবৃত্তি সংক্রান্ত তথ্য আপডেট করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে দায়িত্ব প্রদানের নির্দেশনাও প্রদান করেন। এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য সিড মানি হিসেবে আরও পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবে তিনি সম্মতি দেন। এর আগেও সরকার এ লক্ষ্যে পাঁচ কোটি টাকা প্রদান করেছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন সক্ষমতা অনুযায়ী ভর্তির জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আমি বুঝতে পারি না, শিক্ষার্থীরা কীভাবে অতিরিক্ত শিক্ষার্থীপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে পড়াশোনা করছে। অর্থের অভাবে শিক্ষার সুযোগবঞ্চিত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গঠন করা হয়। ২০১১-১২ অর্থবছরে ট্রাস্টের সিড মানি হিসেবে ১ হাজার কোটি টাকা প্রদান করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে ৫৫০ দশমিক ৯০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ট্রাস্ট এ বছর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২ লাখ ৯ হাজার ৬০০ জন দরিদ্র শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১১ দশমিক ৪০ কোটির বেশি অর্থ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সূত্র: বাসস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top