সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


আলো - আঁধারি : ডাঃ নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়


প্রকাশিত:
১৫ জুন ২০২০ ২৩:১৮

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৬


অন্ধকার আসে, থেকে যেতে চায় -
অন্ধকারকে তাড়াতাড়ি বিদায় দিতে গেলে,
বিজলী, মোমবাতি, হ্যারিকেনের খুব প্রয়োজন ;
মোমবাতি জ্বালতে হবে,
জোনাকি হয়ে জ্বলে উঠতে হবে,
আঁধারের ঘাড়ে একটা বড় ঝাঁকুনি দিতে হলে,
জোনাকি হওয়াটাও বড় প্রয়োজন।।

জোনাকি কি সবাই হতে পারে !
তবু অন্ধকারকে কোনভাবেই
জাঁকিয়ে বসবার সুযোগ দিলে,
সে কিন্তু শিকড় বিস্তার করতে চাইবে,
ছড়িয়ে যেতে চাইবে, গভীর থেকে গভীরে -।

অন্ধকার দুর্বল চিত্তের প্রানীদের
খুব ভালবাসে, বশ করতে পারে সহজেই ;
বশ করে নিজেদের দলে আনতে পারে সেইসব মানুষদের,
যারা সদর্থক চিন্তা করতে ভয় পায়,
যারা সমস্যা দেখে অজুহাত খোঁজে -
প্রতিপক্ষের সামনে, উপস্থিত না হবার কথা ভাবে ;
যারা খেলতে নেমে  পরাজিত হবার আগেই,
খেলার স্থান ছেড়ে দুরে কোথাও চলে যায়!!
অথবা মাঠে নামেনা পরাজয়ের চিন্তা করে।।

অন্ধকার ভয় পায় সমস্ত রকম আলো-
আলো ফুটবার সম্ভাবনা দেখলেই,
সে তার বাক্স প্যাটরা গুছিয়ে চলে যাবার প্রস্তুতি নেয় ;
আলো - আঁধারির এই খেলা চলেছে কাল,
চলবে আজ ও আগামীতেও,
শুধু জোনাকি হয়ে জ্বলে ওঠার প্রত্যয়কে
জারিত করে এগিয়ে যেতে হবে,
সেখানে আলো জ্বালবার রসদ হয়তো কম পড়ে,
কিন্ত না উপোসী মনে যে আগ্নেয়গিরির শক্তি জমা হয়ে থাকে,
সে খবর কেউ জানেনা, সে নিজেও নয়।।

ডাঃ নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা, ভারত  



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top