মধুচন্দ্রিমা : এনামুল হক টগর


প্রকাশিত:
১৪ অক্টোবর ২০২১ ২০:৪৫

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২৩:১১

 

যৌবন সব সময়ই শিমুল পলাশ ও বকুল ফুলের বাহারী বসন্তকাল!
সে রং বে-রংয়ের সাজ সজ্জায় খেলা করে ফাগুন হাওয়ায় শান্ত চঞ্চল!
প্রেম ভালোবাসার যুগল বন্ধনে যৌবন জেগে ওঠে মধুচন্দ্রিমার চেতনায়।
প্রাণশক্তির বাসনায় অমৃত সুধা পান করে আনন্দ উপভোগ সৌরভময়!
কোন বৈশ্বিক প্রজ্ঞার স্পন্দনে জীবনগুলো রঙিন হয় দিওয়ানা বৈচিত্র্যময়!
আইনের যৌথ মিলন চৈতন্যে নব নব প্রাণ ফসল ফলায় আগামীর কল্যাণ।
কখনো সুষম বণ্টন অধিকারে যৌবন দীর্ঘ সংগ্ৰাম করে ক্ষুধামুক্ত শ্লোগান।
একদিন আনন্দ উৎসব শেষে জীবনগুলো দুঃখ কষ্টে অতীত হয় ক্লান্ত ঘুমে বিস্ময়!
শুধু স্মৃতিগুলো পড়ে থাকবে ধূঁ ধূঁ শূন্য বেদনা বিধুর ইতিহাসে মলিন পরিচয়!
যৌবনের বিলাস ক্ষয়ে ক্ষয়ে দেহ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় মাটির ঘরে যত প্রশ্ন!
যন্ত্রণার ব্যথাগুলো বুকে নিয়ে প্রিয়তমা হাহাকার করে ক্লান্ত সে বিপন্ন!
দেহ পচে গলে ঝরে যায় দুগন্ধে শেয়াল কুকুর উঁকি দেয় বিচারের মুখোমুখি বিদীর্ণ!
কোথায় মধুচন্দ্রিমার রাজ্য কোথায় আনন্দ কোথায় আমিত্ব সব ব্যর্থ জীর্ণশীর্ণ।
অবশেষে অনন্ত বিচ্ছেদ বিরহে ক্লান্ত জীবন কেঁদে কেঁদে নিরুপায় দুঃখ যন্ত্রণা।
অসহায় ভালোবাসা মলিন অশ্রু নয়নে ঝরে পড়ে মৃত্তিকার বুকে বিধ্বস্ত ক্রন্দন!
কামনার রঙিন আশাগুলো আহত ক্ষত বিক্ষত হয় বিপুল বিরহ বেদনায়।
আশার স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে যায় বাসনার ঘরগুলো পরিত্যক্ত হয় ব্যর্থ সংসার পরিচয়!
যৌবনের কতো বিলাস কতো আনন্দ প্রিয়তমার মধুচন্দ্রিমা হারিয়ে যায় সুদূর।
সমুদ্র পাহাড় পর্বত কুল উপকুল দ্বীপ বেলাভূমি গ্ৰাম নগর ছাড়িয়ে ক্লান্ত বহুদূর।
যেখানে সবুজ উদ্যান নতুন ফুলের চৈতন্যে জীবন নব নব জাগরণ,
সেখানে হয়তো পুনরায় জেগে উঠবে প্রাণ পাপ পুণ্যে সংস্কার আধুনিক নিপুণ!
ক্ষণিক সময় আকাঙ্খার মিলন মধু আবার যৌবনকে রঙিন করে তুলবে প্রেম সুধায়,
কঠিন সাধনায় জীবনগুলো পূণজাগরণে বেড়ে উঠবে মাশুক মিলন আশায়।

 

এনামুল হক টগর
কবি ও সংগঠক

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top