সেই বাড়িটা: কণিকা দাস
প্রকাশিত:
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:০০
আপডেট:
১২ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৪৭

সেই শানবাঁধানো ঘাটে থমকে আছে সময়
ঈশান কোণে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছ
শতাব্দীর ইতিহাসের সাক্ষী...
আমি তারই পাতার একটায় হাওয়া গুনতে গুনতে
পৌঁছে যাই অর্ধশতাব্দী আগের ছায়াঘেরা বাড়িটায়
বুকের ভিতরে দুন্দুভি বাজিয়ে জানান দেয়
জলশূন্য পুকুরের হাহাকার
ছায়ারা হেঁটে বেড়ায় হ্যারিকেনের আলোর
আবছায়া ঘরটায়….
আমার আর বোনের আদুরে পুতুলগুলো
আর সেই বকফুল গাছ দুটো
স্মৃতির অতলে সযত্নে রাখা...
বাবার দেওয়া সোনার দুল খুঁজে পাইনি আজও।
ভাঙা ইটের খাঁজে এখন কেবল সরীসৃপের বাসা
একটা শীতল স্রোত চকিতে বয়ে যায় সারা শরীরে
চাতালে দাগ কাটা এক্কাদোক্কার ছকে
আরশোলার আনাগোনা
স্মৃতির অতল তলে থাকা বাড়ীটায় এখন ঘুঘুর বাস
শ্মশানের নিস্তব্ধতায় দাঁড়িয়ে শুনতে পাই হাহাকার
এখানেই তো থমকে আছে আমার,
আমার বোনের আর ভাইয়ের ছেলেবেলা।
কণিকা দাস
লেখক ও সংগঠক
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: