কৃষ্ণচূড়া ও ঐতিহাসিক সভ্যতা : রওশন আরা রুশনী
প্রকাশিত:
১ নভেম্বর ২০১৯ ২২:২৬
আপডেট:
১১ এপ্রিল ২০২০ ২৩:২৯

১. কৃষ্ণচূড়া
নীলাঞ্জনার ভালোবাসার দিঘি
নদী হয়ে সমুদ্রের মোহনায় মিশেছিল
ভালোবাসা কেমন করে যেন হয়ে গেল
কেমন করে যেন ডুবিয়ে নিল গভীর সমুদ্রের অতলে!
একদিন, বিসর্জিত হলো নীলাঞ্জনা
নিষ্ফলা লেবু গাছের মতো
দিন চলে যায় জীবনের নিয়মে।
ভিক্ষাপ্রার্থী পথের ভিক্ষুকের মতো।
বড্ড তৃষ্ণার্ত বোধ হলো
গনগনে রোদ্দুরে।
স্বজনের ভিসুভিয়াস দাহের দহনে দগ্ধ নীলাঞ্জনা।
গলার কাছে দলা পাকানো নীলকষ্টে
একসময় বাঁচার পথ খুঁজে পেল।
নীলাঞ্জনার নীল জলাশয়ের হৃদয়ে
বৃষ্টি নামল
মনুষত্বের হিমগ্রতা ক্রশবিদ্ধ করল
আপেল রঙা কৃষচূড়া।
২. ঐতিহাসিক সভ্যতা
একুশ আমার হৃদয় নিংড়ানো জীবনের
রক্তঝরা ভালোবাসা
সাফল্যের সচিত্র প্রকাশ, সত্যের জলন্ত প্রতিক
বাঙালীর ভাষা, কাঙ্খিত যত আশা ।
একুশ আমার প্রেরণা, সংগ্রাম, আন্দোলনের উৎস
শোকের অবলম্বন , ক্ষোভের নির্ভরতা
সীমাহীন ব্যাকুলতায় , বাঁচার মতো বেঁচে থাকার
ঐতিহাসিক সভ্যতা।
রওশন আরা রুশনী
কবি ও সাহিত্যিক এবং অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষিকা
বিষয়: রওশন আরা রুশনী কবিতা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: