পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
প্রকাশিত:
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:২৪
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ০১:৫৯

এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। নিজেদের সেরা ব্যাটসম্যান এবং সেরা অলরাউন্ডারকে ছাড়াই এ জয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান এবং ম্যাচ সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। আগামী শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামবে মাশরাফির দল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ২৩৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৯ রান করেন মুশফিক। এছাড়া মোহাম্মদ মিথুন ৬০ ও মাহমুদুল্লাহ ২৫ রান করেন। জবাবে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২০২ রান করতে পারে পাকিস্তান। মুস্তাফিজুর ৪৩ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন।
এরআগে লিটন দাসের সাথে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন এশিয়া কাপের মাঝপথে দলে সুযোগ পাওয়া সৌম্য সরকার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন তিনি। পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার জুনাইদের শিকার হয়ে শুন্য রানে ফিরতে হয় সৌম্যকে।
এরপর প্যাভিলিয়নে সৌম্যর সঙ্গী হন আরেক ওপেনার লিটন ও তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নামা মোমিনুল হক। পাকিস্তানের আরেক বাঁ-হাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির স্টাম্পের ডেলিভারিতে বলের লাইনে পা নিতে না পেরে বোল্ড হন মোমিনুল। ১টি বাউন্ডারিতে ৪ বলে ৫ রান করেন তিনি।
মোমিনুলের মত একইভাবে আউট হন লিটনও। তবে লিটনকে শিকার করেন জুনায়েদ। ১৬ বল মোকাবেলা করে ৬ রান করেন লিটন। এ সময় ৪ দশমিক ২ ওভারে ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ।
এই অবস্থায় দলকে খেলায় ফেরানোর দায়িত্ব নেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিক ও মিথুন। ৩৩তম ওভারে দেড়শ রানের কোটা স্পর্শ করে টাইগাররা। এ সময় মুশফিক ও মিথুন, দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। মুশফিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩০তম ও মিথুন দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান।
অর্ধশতকের পর নিজের ইনিংসটাকে ৬০ রানে বেশি বড় করতে পারেননি। পাকিস্তানের ডান-হাতি পেসার হাসান আলীর বলে আউট হন তিনি। মিথুনকে ফিরিয়ে মুশফিক-মিথুন জুটি ভাঙেন হাসান। ততক্ষণে চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে ১৭৬ বলে ১৪৪ রান যোগ করেন তারা।
মিথুনের বিদায়ে ক্রিজে আসেন গেল ম্যাচে অপরাজিত ৭২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলা ইমরুল। এবার আর নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। ১০ বলে ৯ রান করেন ইমরুল।
এরপর সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে থাকতে আউট হন মুশি। দলীয় ১৯৭ রানে মুশফিকুরের বিদায়ের পর মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে দলের চাকা ঘুড়াচ্ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু ২৩০ রানের মধ্যে মাহমুদুল্লাহ ও মিরাজকে বিদায় দিয়ে বাংলাদেশের রান তোলার পথ কঠিন করে তুলেন পাকিস্তানের জুনায়েদ খান। তারপরও শেষদিকে দলকে আড়াইশ রানের কাছাকাছি নিয়ে যাবার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি। ১টি ছক্কাও মারেন তিনি। কিন্তু ৪৯তম ওভারের পঞ্চম বলে থেমে যেতে হয় ম্যাশকে। ফলে ২৩৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ১৩ বলে ১৩ রান করেন মাশরাফি। মাহমুদুল্লাহ ২৫ ও মিরাজ ১২ রান করেন। পাকিস্তানের জুনাইদ ১৯ রানে ৪ উইকেট নেন।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: