ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের শুভ সূচনা


প্রকাশিত:
৮ মে ২০১৯ ০৬:৪৭

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ০৪:১০

ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের শুভ সূচনা



তামিম ইকবাল, তাদের পর হাফসেঞ্চুরি উদযাপন করলেন সাকিব আল হাসান। তিন ফিফটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। ৪৫ ওভারে ২ উইকেটে ২৬৪ রান তাদের।



দেশের মাটিতে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও হাফসেঞ্চুরি ছিল সাকিবের। এর আগেই সৌম্য ও তামিমের প্রায় দেড়শ ছোঁয়া জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু তাদের সেঞ্চুরি করতে না পারাটা আক্ষেপ হয়ে থাকলো। সৌম্য ৭৩ আর তামিম ৮০ রান করে সাজঘরে ফিরে গেছেন।



আবাহনীকে ২০তম লিগ শিরোপা জেতাতে ১০৬ ও অপরাজিত ২০৮ রান করেন সৌম্য। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে মঙ্গলবার ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৪৭ বলে করেন অষ্টম ফিফটি। জেসন হোল্ডারকে বাউন্ডারি মেরে পঞ্চাশ ছোঁন এই বাঁহাতি ওপেনার।



৬৩ রানে সৌম্য জীবন পান শেন ডাউরিচের হাতে। কিন্তু তিন অঙ্কের ঘরে যেতে ব্যর্থ এই বাঁহাতি ওপেনার। রোস্টন চেসের বলটি বাউন্ডারি ছাড়া করতে চেয়েছিলেন সৌম্য। কিন্তু ডিপ মিড উইকেটে দাঁড়ানো ব্রাভো ভারসাম্য রক্ষা করে অসাধারণ এক ক্যাচ ধরেন। তাতে থামে ৯ চার ও এক ছয়ে সাজানো সৌম্যর ৬৮ বলের ইনিংস।



১৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটিতে সৌম্য কিছুটা আগ্রাসী থাকলেও তামিম ছিলেন রক্ষণাত্মক। প্রথম বাউন্ডারির দেখা তিনি পান দশম ওভারে। তারপর থেকে স্বরূপে খেলে গেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ৭৮ বলে পান হাফসেঞ্চুরির দেখা। কিন্তু সেটাকে তিন অঙ্কের ঘরে নিতে ব্যর্থ তিনি।



গত বছরের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই সবশেষ সেঞ্চুরি ছিল তামিমের। ডাবলিনে এদিন তিনি থেমেছেন ৮০ রান করে। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের নিচু বলে ফ্লিক করতে গিয়ে জেসন হোল্ডারের ক্যাচ হন তিনি। তার ১১৬ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার। সাকিবের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫২ রানের। দুই ওপেনার সেঞ্চুরি করতে না পারলেও সম্ভাব্য জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে গেছেন।



এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেটে করে ২৬১ রান। মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছেন হোপ (১০৯)। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে শতক পূর্ণ করা এই ব্যাটসম্যান আরেকবার জ্বলে উঠলে বড় সংগ্রহের ভিত পায় ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু বাংলাদেশি বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে প্রত্যাশিত স্কোর তুলতে পারেনি তারা।



মাশরাফি মুর্তজা (৩/৪৯), মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (২/৪৭), সাকিব আল হাসান (১/৩৩) ও মেহেদী হাসান মিরাজের (১/৩৮) নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২ উইকেট নিতে ৮৪ রান খরচ করা মোস্তাফিজুর রহমান বাদে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের সব বোলারের প্রস্তুতিটা হয়েছে দারুণ।



ক্যারিবিয়ানদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার চেস করেছেন ৫১ রান। এছাড়া সুনিল অ্যামব্রিস ৩৮ ও অ্যাশলে নার্স করেন ১৯ রান।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top