অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াকু হার


প্রকাশিত:
২১ জুন ২০১৯ ১৭:১০

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৪:৩৮

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াকু হার

জিততে হলে গড়তে হবে রেকর্ড। এমন প্রেক্ষাপটে টাইগারদের ব্যাটিং ভেঙে পড়ার নজির অনেক। কিন্তু ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস বিশ্বকাপে শুরু থেকেই অন্য বাংলাদেশকেই তো দেখছে বিশ্ব। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও বৃহস্পতিবার সেই অদম্য বাংলাদেশেরই দেখা মিলল। যে দলটা ৩৮২ রানের পাহাড় লক্ষ্য দেখেও ভয় পায়নি মোটেও। বরং প্রবল আত্মবিশ্বাসে তাড়া করতে চাইল রানটা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৪৮ রানে পরাজয় মানতে হলো বাংলাদেশকে।



তবে হারার আগে হার নয়। মুশফিকুর রহিম সেঞ্চুরি পেলেন। মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং দাপট দেখল অজি বোলাররা। ফিফটি পেলেন তামিম ইকবালও। তাতে এই হারেও পাওয়া গেল অনেক জ্বালানি। পরের ধাপগুলো পাড়ি দিতে যা আত্মবিশ্বাসী রাখবে টাইগারদের। ৮ উইকেটে ৩৩৩ রানে থামে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে যা নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর।



মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসানের পর বিশ্বকাপের মঞ্চে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুশফিকুর রহিম। অভাগাই বলতে হবে তাকে। ৯৭ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ১০২ রানে অপরাজিত থাকলেন। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েও যে হাসতে পারলেন না। থাকতে হলো পরাজিত দলে।



অথচ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে তার ১২৭ রানের জুটি আশা দেখাচ্ছিল অনেককেই। বিশেষ করে মাহমুদউল্লাহ যেভাবে চার ও ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন। শেষ ১০ ওভারে ১৩৭ রানের সমীকরণ থাকার পরও স্বপ্ন খুঁজতে চাইলেন কেউ কেউ।



সেই আশা অবশ্য শেষ মাহমুদউল্লাহ ফিরতেই। কাউন্টার-নাইলের করা ৪৬তম ওভারে তুলে মারতে গিয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। ৫০ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৯ রান করেন তিনি।



এর আগে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ফিফটি পান তামিম। ৭৪ বলে ৬ চারে ৬২ রান করেন। মুশফিকের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৪২ ও তার আগে দ্বিতীয় উইকেটে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যোগ করেন ৭৯ রান। তামিম-সাকিব জুটিটাও আশাবাদী করেছিল। কিন্তু সাকিবকে ফিরতে হয় ৪১ বলে ৪১ রান করে।



অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক, কাউন্টার-নাইল ও মার্কাস স্টয়নিস।



তবে বোলিংয়ে মনে রাখার মতো কিছু নেই। আসলে থাকার কথাও নয় ডেভিড ওয়ার্নার যেদিন খেলেন আর অন্য প্রান্ত থেকে পান যোগ্য সঙ্গ, সেদিন যে কোনো বোলিং লাইনআপকেই তো গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে তারা।



ওয়ার্নার এদিন ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেছেন। ১৪টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছক্কা। এ ছাড়া উসমান খাজা ৮৯ ও অ্যারন ফিঞ্চ করেছেন ৫৩ রান। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল করেন ৩২। বাংলাদেশের বোলারদের ব্যর্থতার দিনে সফল ছিলেন সৌম্য সরকার। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৮ ওভার বল করে ব্যয় করেন ৫৮ রান। এ ছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান নেন ১ উইকেট।



ম্যাচসেরা হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এই হারে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন অবশ্য অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ল।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top