ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অ্যাশেজ নিজেদের ঘরে নিলো অস্ট্রেলিয়া
প্রকাশিত:
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:৪৩
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৪৯

প্রভাত ফেরী,স্পোর্টস ডেস্ক: শেষ ১৮ বছর ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ জেতেনি অস্ট্রেলিয়া। ২০০১ সালে শেষ বার ইংলিশদের মাটিতে জিতেছিল অ্যাশেজ। তবে এরপর আর অ্যাশেজের শিরোপা ইংলিশদের মাটি থেকে ঘরে নিয়ে যেতে পারেনি অজিরা। কিন্তু এইবার দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এই রেকর্ড ভাঙতে চললো অষ্ট্রেলিয়া।
আগেরবার নিজেদের মাটিতে অ্যাশেজ জিতে কাজটা অনেকদূর এগিয়ে রাখে অস্ট্রেলিয়া। সে ক্ষেত্রে এবার জয় না পেলেও অন্তত সিরিজ ড্র করলেই মিলে যাবে ট্রফি- এমন সমীকরণ নিয়ে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামেন স্মিথ-ওয়ার্নাররা। তাতে অবশ্য গোমরা মুখে মাঠ ছাড়তে হয়নি। আর তাই এক টেস্ট হাতে রেখেই গতকাল নিশ্চিত করল 'দি অ্যাশেজে'র কাঙ্ক্ষিত শিরোপাটা।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চতুর্থ টেস্ট বাঁচাতে পারলো না ইংল্যান্ড। রবিবার তাদের ১৮৫ রানে হারিয়ে অ্যাশেজ নিজেদের কাছে রেখে দিলো অস্ট্রেলিয়া। চার ম্যাচ শেষে ২-১ এ এগিয়ে অজিরা।
৩৮৩ রানের লক্ষ্যে নেমে শেষ দিনে জয়ের চিন্তা করাটা বোকামি, তাই ম্যাচ বাঁচাতে দাঁত কামড়ে ক্রিজে পড়ে থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না ইংল্যান্ডের। সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু প্যাট কামিন্সের সঙ্গে জোশ হ্যাজেলউড ও মিচেল স্টার্কের গতি এবং নাথান লায়নের ঘূর্ণিতে প্রতিরোধটা যথেষ্ট হলো না।
স্টিভেন স্মিথের ৮২ ও ম্যাথু ওয়েডের ৩৪ রানে ভর দিয়ে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান তুলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। বোলিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই টানা দুই বলে ররি বার্নস ও জো রুটকে তুলে নেন কামিন্স। ২ উইকেটে ১৮ রান নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করা ইংল্যান্ড এরপর জো ডেনলি ও জেসন রয়ের ব্যাটে ভর করে ভালোই এগোচ্ছিল।
৪ উইকেটে ৮৭ রানে লাঞ্চে যায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ডেনলির প্রতিরোধ ভাঙেন লায়ন। ১২৩ বল খেলে ৬ চারে ৫৩ রান করে শর্ট লেগে মার্নাস ল্যাবুশ্যাগনের ক্যাচ হন ইংলিশ ওপেনার। নতুন দুই ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো ও জস বাটলারের জুটি বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছিল অজিদের। কিন্তু ১৮.৫ ওভারের এই ৪৫ রানের জুটি ভেঙে ইংল্যান্ডকে আবার অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেয় সফরকারীরা। ৬১ বলে ২৫ রান করে স্টার্কের কাছে এলবিডাব্লিউ হন বেয়ারস্টো।
তবে এরপরই আবার আঘাত হানেন কামিন্স। ৩১ রান করা রয়কে ফিরিয়ে ভাঙেন ৬৬ রানের জুটি। হেডিংলিতে অবিশ্বাস্য এক ম্যাচজয়ের নায়ক বেন স্টোকস এদিন ব্যর্থ। ১ রান করে তিনিও ফেরেন কামিন্সের বলে। আর ফিফটি করার পরপরই ৫৩ রানে নাথান লায়নের বলে আউট হন ডেনলি। ষষ্ঠ উইকেটে এরপর প্রতিরোধ গড়েন জস বাটলার ও জনি বেয়ারস্টো। দলীয় ১৩৮ রানের মাথায় বেয়ারস্টোকে বিদায় করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন স্টার্ক। শেষ দিকে ছোট ছোট জুটিতে এগোনোর চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি স্বাগতিকদের।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে কামিন্স সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন, দুটি করে পান হ্যাজেলউড ও লায়ন। দুই ইনিংসে ২১১ ও ৮২ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন স্টিভেন স্মিথ।
ওল্ড ট্রাফোর্ডের ম্যাচ জিতে এবারের অ্যাশেজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ওভালে শেষ টেস্ট জিতলেও ইংল্যান্ড পারবে না অ্যাশেজ জিততে। অ্যাশেজ রয়ে যাবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কাছেই। ১৮ বছর পর অ্যাশেজ ধরে রেখে বাড়ি ফিরবে স্মিথরা।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: