খুলনাকে একাই জেতালেন মুশফিক


প্রকাশিত:
১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:২৫

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:২০

ছবি: বিসিবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: রবি বোপারাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে যখন শোয়েব মালিকের হাতে ধরা পড়লেন, হতাশাটা তখন আর আড়ালে রাখতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও যে ব্যর্থ হলেন। রাজশাহী রয়্যালসের ১৮৯ রান টপকে খুলনা টাইগার্সের জয়ের জন্য তখন মাত্র ২ রান দরকার ছিল, ৯৬ রানে দাঁড়িয়ে থাকা মুশফিককে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে বাউন্ডারিই হাঁকাতে হতো। সেটা করতে গিয়েই আউট হলেন। তবে এই কিপার-ব্যাটসম্যানের সেই আক্ষেপ কিছুটা হলেও ভুলিয়ে দিয়েছে দলের ৫ উইকেটের দুর্দান্ত জয়।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ২২ গজে ব্যাটসম্যানদের জন্য রান লুকানো আছে, সেটা জানাই ছিল। এরপরও মঙ্গলবার টস জিতে আগে বোলিংটাই বেছে নেন খুলনা দলপতি মুশফিক। তবে তার বোলারদের পারফরম্যান্স মোটেও স্বস্তিদায়ক ছিল না। ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে মোহাম্মদ আমির, শফিউল ইসলাম, রবি ফ্রাইলিঙ্কদের ওপর দিয়ে তাণ্ডবই চালিয়েছেন রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে পাকিস্তানি শোয়েব মালিক। তার ঝড়ো ৮৭ রানের ইনিংসে ভর করে ১৮৯ রানের বড় পুঁজি গড়ে রাজশাহী। কিন্তু মুশফিকের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ওই পুঁজি নিয়েও হালে পানি পায়নি আন্দ্রে রাসেলের নেতৃত্বাধীন দলটি, ২ বল অব্যবহৃত রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে খুলনা। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় তারা। অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচে জয় পাওয়া রাজশাহী পায় প্রথম হারের স্বাদ।

শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ আমিরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হযরতউল্লাহ জাজাই। একটি করে ছক্কা ও চারে ১৬ বলে ১৯ রান করে বিদায় নেন লিটন দাস। ভালো শুরু ধরে রাখতে পারেননি আফিফ হোসেনও। দুই ছক্কায় ১৯ রান করে শহিদুল ইসলামের বলে ধরা পড়েন শফিউল ইসলামের হাতে। নবম ওভারে ৬৬ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারানো রাজশাহী এগিয়ে যায় মালিকের ব্যাটে। অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বোপারার সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৬১ বলে উপহার দেন ১০৬ রানের জুটি। ১৯তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন আমির। ফেরান ৫০ বলে ৮টি চার আর ৪টি ছক্কায় ৮৭ রান করা মালিককে। ২৬ বলে দুটি করে ছক্কা ও চারে বোপারা অপরাজিত থাকেন ৪০ রানে, ১৩ রানে দলপতি রাসেল।

বড় রান তাড়ায় খুলনার শুরুটা ছিল ভীতি জাগানিয়া। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আরেক ওপেনার রেহমানউল্লাহ গুরবাজকে দ্রæত বিদায় করেন আফিফ। ২৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে যখন ধুঁকছিল খুলনা, তখন প্রতিঘাত হানেন মুশফিক। রাইলি রুশোকে নিয়ে ৭২ রানের জুটি গড়ে দলকে রাখেন জয়ের পথে। কামরুল ইসলাম রাব্বিকে স্কুপ করতে গিয়ে ৪২ রান করা রুশো ফিরে গেলেও মুশফিক ছিলেন অবিচল। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন শামসুর রহমান শুভ। ক্রিজে গিয়েই চড়াও হন এই ডানহাতি। হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর মুশফিকও তাণ্ডব শুরু করেন। ২০ বলে ২৯ রান করা শামসুরকে ফিরিয়ে ৬১ রানের বিপজ্জনক এই জুটি ভাঙেন রাসেল। এতেও শেষরক্ষা হয়নি। ফ্রাইলিঙ্ককে নিয়ে দলকে জয়ের দারে পৌঁছে দেন মুশফিক।

কিন্তু আক্ষেপ মাত্র চার রানের জন্য মুশফিক পাননি এই সংস্করণে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। তবে আগের সেরা ৮৬ ছাড়িয়ে গেছেন। ৫১ বলে করেছেন ৯৬ রান, ৯টি চার আর ৪টি ছক্কায় সাজিয়েছিলেন দুর্দান্ত এই ইনিংসটি।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top