আল নিনো - পুনরায় খরার মুখে ভারত


প্রকাশিত:
১৮ জুন ২০১৮ ১১:২৪

আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ০১:৫১

আল নিনো - পুনরায় খরার মুখে ভারত

এল নিনো পৃথিবার আবহাওয়া ব্যবস্থার একটি অস্বাভাবিক অবস্থা বলা যেতে পারে। দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলে বিষুবরেখার কাছে প্রশান্ত মহাসাগরের জলের উষ্ণতার অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে এই অবস্থা তৈরি হয়। ট্রেড উইন্ড দুর্বল হয়ে গিয়ে বা বিপরীতমুখী হয়ে পরে প্রশান্ত মহাসাগরের বিশাল এলাকার জলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। আরও সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে, প্রশান্ত মহাসাগরের জলের গড় তাপমাত্রা যখন স্বাভাবিকের থেকে কমপক্ষে ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি ঘটে তখনই এল নিনো সৃষ্টি হয়। সাধারণত এটি ২-৭ বছরের মধ্যে চক্রাকারে এই পরিস্থিতি আসে। ভারতে গ্রীষ্মকালে উষ্ণ বায়ু ভূস্তরের অনেক উপরে উঠে যায়। সেই ফাঁকা জায়গা ভরাট করতে সমুদ্রের উপরের আর্দ্রতা সম্বৃদ্ধ শীতল বাতাস ছুটে আসে। আর সেই জলকণা সম্বৃদ্ধ বাতাস, যাকে আমরা মৌসুমী বাযু বলে জানি, তার প্রভাবেই ভারতে বর্ষা উপস্থিত হয়। কিন্তু এল নিনোর সময়, এই জলকণা সম্বৃদ্ধ ভেজা বাতাস প্রশান্ত মহাসাগরের দিকেই ধাবিত হয়। ফলে ভারতীয় উপমহাদেশে বিঘ্নিত হয় বর্ষাকাল। শুকনো শুষ্ক বায়ুতে দেশে খরা দেখা দেয়। ১১৯৭, ২০০২, ২০০৪, ২০০৯, এবং ২০১৪ তে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। এই বছর এল নিনো আমাদের দেশের বর্ষায় কী প্রভাব ফেলে সেটাই দেখার। 



 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top