অভিমানে হঠাৎ অবসরে ওজিল


প্রকাশিত:
২৩ জুলাই ২০১৮ ১১:২৯

আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ০১:২৫

অভিমানে হঠাৎ অবসরে ওজিল

জার্মানির জার্সিতে আর খেলতে চান না মেসুত ওজিল! রবিবার হঠাৎ গোটা ফুটবল দুনিয়ার ভক্ত-অনুরাগীদের অবাক করেই এমনটা জানান আর্সেনালের এই তারকা মিডফিল্ডার।



এদিন বিশাল এক বিবৃতিতে ওজিল খুব পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন যে, জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি) তার ওপর যেরকম আচরণ করেছে তাতে তিনি চরম হতাশ। ওজিল তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘আর কখনোই জার্মানির জার্সি গায়ে জড়াতে চাই না।’



সদ্য সমাপ্ত রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় জার্মানি। যা, বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৮০ বছরের মধ্যে প্রথম। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব অতিক্রম করতে না পারার পেছনে দেশটির অনেকেই দায় দিচ্ছেন ওজিলকে।



বয়স ২৯ বছর ছাড়িয়ে গেছেন ওজিল। জার্মানির জার্সিতে ৯২ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে প্রতিপক্ষের জালে ২৩বার বল জড়িয়েছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা ফুটবলার। শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালে জার্মানিকে দুই যুগ পর বিশ্বকাপ উপহার দেওয়ার অন্যতম নায়কও তিনি। অথচ, রবিবার হঠাৎ করেই জার্মানির জার্সিতে আর না খেলার ঘোষণা দিলেন। কিন্তু কেন?



এর কারণটা জানতে হলে আরও পেছনের দিকে যেতে হবে। গত মে মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করেন ওজিল। লন্ডনের এক অনুষ্ঠানে রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করার সময় তার সঙ্গে ছিলেন সতীর্থ ইলকে গুনদোগানও। দু’জনই তুরস্কের বংশোদ্ভূত জার্মান মিডফিল্ডার।



এরপর থেকেই কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন ওজিল। জার্মান দলের মূল্যবোধ নষ্টের অভিযোগও তোলা হয় তার বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদেরকে মেইলে ঘৃণা ছড়ানো বার্তাও পাঠানো হয়। টেলিফোন কিংবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও হুমকি দেওয়া হয় ওজিলকে।



যদিওবা ওজিল জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ ছিল না। তিনি বলেন, ‘ওই ছবির পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ ছিল না। আমার পূর্বপুরুষের দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছবি তুলেছি ওই দেশের সঙ্গে আমার শেকড়ের সম্পর্কের সম্মানের জায়গা থেকে। কোনো ব্যক্তিকে নয় বরং আমি ওই দেশের প্রেসিডেন্ট পদটাকেই সম্মান দেখাতে চেয়েছি।’



ওজিল বলেন, ‘আমি তুর্কি বংশোদ্ভূত। যে কারণেই তুরস্কের প্রতি আমার ভালোবাসা রয়েছে। আমার পিতা আমাকে শিখিয়েছেন, আমরা যেখান থেকে এসেছি, যেখানে আমাদের পরিবার বেড়ে উঠেছে কিংবা যেখানে আমাদের স্মৃতি রয়েছে আমরা যেন তাকে ভুলে না যাই।’



সূত্র : বিবিসি


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top