চতুরিকা বলেই দিল সে যাচ্ছে শ্ৰেষ্ঠীগৃহে। কথা হয়ত সত্য নয়, তবে অসত্যও তো নয়। পথে যখন বেরিয়েছে বৈদ্যরাজ নহুষ শর্মণকে খুঁজতে খুঁজতে সে শ্ৰ... বিস্তারিত
প্রৌঢ় মানুষটি গৃহে গমন করলে প্রাজ্ঞ-পুরুষটি একা হয়ে গেল। একা হয়ে কী করবে বুঝতে পারছিল না। কোথায় যাবে এখন? সে হাঁটতে লাগল উদ্দেশ্যহীন হয়... বিস্তারিত
আলাপ চলছিল। প্রতিদিন। প্রতি গোধূলি বেলায়। প্রতি সন্ধ্যায়। রাত্রিকালে নগরময় আলাপের কোলাহল বাড়ছিল। একদিন মুক্তা বিপণির অধিকারী সেই প্রৌ... বিস্তারিত
অনাবৃষ্টির কাল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ জ্যেতির্বিদ আচার্য বৃষভানু উজ্জয়িনী ছেড়ে চলে গেছেন। কেউ বলছে তিনি পুবে গেছেন শিপ্রাতীর ধর... বিস্তারিত
অবন্তীর বণিক শ্রেষ্ঠ, ধনপতি সুভগ দত্ত যাবেন বাণিজ্যে। নগরে এই রব উঠেছে। সুভগ দত্ত শেষ বার কবে সার্থবাহ নিয়ে দূর দেশে গিয়েছিলেন তা মনে করতে... বিস্তারিত
রাজা দেখতে পাচ্ছিলেন ভয়ার্ত আচার্য মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। রাজা ঘুরে গিয়ে আবার বৃষভানুর মুখোমুখি হলেন। দেখলেন প্রবীন জ্যোতির্বিদের দুটি চোখ... বিস্তারিত
আচার্য বৃষভানুর কাছে যাচ্ছেন রাজা ভর্তৃহরি। রাত্রির দ্বিতীয় প্রহর এখন। নগর পাথর হয়ে আছে। দেবপথ দিয়ে বেরিয়ে শিপ্রানদীর তীর ধরে মঙ্গলনাথের... বিস্তারিত
মরণ কী ভয়ানক! মরণের নাড়ি ছেঁড়া আর্তনাদ যেন এখনো আচ্ছন্ন করে রেখেছে সুভগ দত্তকে। একটি পরিত্যক্ত পর্ণকুটিরে শৃঙ্খলিত করে, তাতে আগুন দিয়ে... বিস্তারিত
উতঙ্ক বন্দি হয়েছে। তাকে সমর্পণ করেছেন প্রভু সুভগ দত্ত। এই সংবাদ নগরে শোনা যাচ্ছিল। শূদ্রপল্লীর অগ্নিকাণ্ড, তারপর উতঙ্কের বন্দিত্ব নগরে চাঞ্... বিস্তারিত
শূদ্র, নারী এবং দাস বিশ্বাসের উপযুক্ত নয়। উতঙ্ক সর্বনাশ করে দিয়েছে এই অবন্তীদেশের। অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়ে গিয়েছিল সিংহাসন অধিকারের, জেনে... বিস্তারিত
চৈত্র পূর্ণিমা এসেছিল বৈশাখের আরম্ভে। তারপর ক’দিন বাদে কৃষ্ণপক্ষের ঘোর অন্ধকারে জ্বলে উঠল শূদ্রপল্লী। আগুন মুহূর্তে খেয়ে নিল পর্ণকুটিরগুলিক... বিস্তারিত
উদ্ধবের দূতী হয়ে চতুরিকা এসেছে প্রধান গণিকা দেবদত্তার গৃহে। চতুরিকা নিজে দেবদত্তার অনুরাগিনী, দেবদত্তা তাকে সখীর মান দেয়, এই গৃহে তার অবার... বিস্তারিত
সুভগদত্ত বললেন, নগর ছারখার হয়ে যাক, এ দেশ জ্বলে পুড়ে যাক। মহাকালের অভিপ্রায় যদি তাই হয় হবে। প্রধান পুরোহিত বললেন। আমি বাণিজ্যে যাব, কিন... বিস্তারিত
গন্ধবতী বলল, সেদিন ছিল চৈত্র পূর্ণিমা, কামদেবের মন্দিরে গিয়েছিলাম আমি। জানি তা। তাম্রধ্বজ বলে শুনেছি। সেদিনই ফিরেছিল ধ্রুবপুত্ৰ উজ্জয়িনী... বিস্তারিত
গম্ভীরায় প্রবেশ করে তাম্রধ্বজ বলল, আমি নদী থেকে ঘুরে আসি, আপনি এক গৃহে ফিরুন, যা জেনেছি তা আমি বলব না গন্ধবতী বা রেবা মাকে, ওঁরা কষ্ট পাব... বিস্তারিত
উজ্জয়িনী ফেরার পথটি তো কম নয়। যেন যেতে যত যোজন, ফিরতে তার চেয়ে অনেক অনেক যোজন বেশি। শরীরে ক্লান্তি ছিল, ছিল মনেও ক্লান্তি। দুর্ভাবনা ক... বিস্তারিত
উতঙ্কের চাহনিতে হিম বর্ষণ হয় যেন। উতঙ্কর রথটিও তেমনই। ভয় উদ্রেক করে রাজপথে সব সময়। উতঙ্কর রথ কে না চেনে এই নগরে? পথের সারমেয়কূল সবচেয়ে... বিস্তারিত
ধ্রুবসখার পুত্রটি ছিল অকৃতজ্ঞ। দুর্বিনীত অহঙ্কারী। এই নগর থেকে সে নির্বাসিত। ধ্রুবপুত্রের অপরাধের কোনো সীমা নেই। সেই অপরাধীর হয়ে কথা বলতে... বিস্তারিত
উজ্জয়িনীতে সুভগ দত্তর গৃহ খুঁজ বের করতে কোনো অসুবিধেই হয়নি শিবনাথের। কে না চেনে শ্রেষ্ঠীকে? শ্রেষ্ঠীর ভৃত্য, রথের সারথি উতঙ্ক কে? কী ভয়ানক... বিস্তারিত
চৈত্র যায়। সামনে পূর্ণিমা। তারপর ক’দিন বাদেই বৈশাখের শুরু। পূর্ব দিগন্তে বিশাখা নক্ষত্র উদয়ের রাত এসে গেল। চিত্রা নক্ষত্র আছেন এই চৈত্রে।... বিস্তারিত
রানী ভানুমতী আর্তনাদ করে উঠলেন দরজায় অবন্তীর সেনাপতি কুমার বিক্রমকে দেখে, রাজপুত্র, এ কি শুনছি, সব সত্য? রাজার বৈমাত্রেয় অনুজ ভিতরে প্রবে... বিস্তারিত
চৈত্র ধু ধু করছে। বাতাসে এখন ঘূর্ণী। ঘূর্ণী বাতাসের মতো রাজার কলঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছিল এদিক ওদিক। ফিসফাস হচ্ছিল, কানাকানি হচ্ছিল, মুখে মুখে কথা... বিস্তারিত
সুভগ দত্ত বললেন, এই অলঙ্কার রাজার। সে কী! হাতের মুঠি খুলে গেল প্রধান পুরোহিতের। হ্যাঁ, রাজার গলা থেকে আপনার হাতে এসে পড়েছে। আপনি ঠিক বলছেন? বিস্তারিত
ললিতা দাসী অস্ফুটস্বরে জিজ্ঞেস করল, তোর কথা সত্য ? কী সত্য? ঘাড় ঘুরিয়ে গর্ভগৃহের তাকায় দেবদাসী। অর্গল রুদ্ধ আছে কিনা দেখে নেয়। তারপর নিশ্চি... বিস্তারিত
মনে পড়ে তোর, এক সন্ধ্যায় শ্রেষ্ঠী এলেন, সুভগ দত্ত। চাপা গলায় ফিসফিস করে দেবদাসী সুভদ্রা, কত বয়স হয়েছে তার কিন্তু একটুও ধরা যায় না, মন... বিস্তারিত
পরমান্ন বেঁধেছিল মা রেবা। সেই পরমান্নর সুবাস ঘর-আঙিনায় ছড়িয়ে গেল। দুয়ার বন্ধ বলে সখা তা টেরও পেল না। মায়ের হাতের পরমান্ন তার অতি প্রিয়... বিস্তারিত
সেদিন ছিল মদনোৎসব। চৈত্র পূর্ণিমা। কামদেবের মন্দিরে যৌবনমেলা, যৌবনোৎসব। সেদিনই অতি প্রত্যূষে, ঊষার আলোয় ঘরে ফিরল ধ্রুবপুত্র। গন্ধবতীর ঘ... বিস্তারিত
গন্ধবতী ভয় পেয়েছে। রাজকর্মচারী উদ্ধবনারায়ণ কী ভয়ানক মানুষ! কী নিষ্ঠুর! কেমন বলে দিল, তার বাবা কার্তিক কুমার হূণ যুদ্ধে হত হয়েছেন। কেমন বলেছি... বিস্তারিত
মাঘের দুপুর। গন্ধবতী তামার কলস রজ্জু নামিয়ে দিচ্ছিল কূপের অন্ধকারে। জল নেমে গেছে অনেকটা। এই গম্ভীরা গ্রাম গম্ভীরা নদীকূলে হওয়ার কারণে জলস্... বিস্তারিত
রাজা হাঁটছিলেন দেবপথ ধরে। এই পথে এখন তাঁকে একা যেতে হয়। আগে কখনো তা হয়নি। ভানুমতীই তাঁকে টেনে নিয়ে গেছেন গভীর রাত্রে মহাকালের দিকে। গন্ধবতী... বিস্তারিত
ছায়া দুলছিল। রাজা ভর্তৃহরি ঘুরে দাঁড়ালেন। জানালার কপাট খুললেন। ঠেলে দিলেন। চোখের সামনে উন্মুক্ত হয়ে গেল পৌষের আকাশ। দীপের আলো জানালা দিয়ে... বিস্তারিত
কামদীপ্ত অগ্নিশিখারা যেন নৃত্যছন্দে দেহ সঞ্চালন করছিল। প্রধান পুরোহিত দ্বিজদেব ব্রহ্মদেব ভট্টর সন্ধ্যারতি শেষ হওয়ার মুখে। সায়ংকাল থেকে একটি... বিস্তারিত
উজ্জয়িনীর সপ্তসাগর যেন অবন্তী লক্ষ্মীর গলায় সপ্তলহরীর মুক্তোহার। কথাটা কে বলেছিল? না, ধ্রুবপুত্র। সে আসত এই রত্নাকর সাগরতীরে বসা বৃদ্ধ সৈনি... বিস্তারিত
তাম্রধ্বজ এসেছে। পৌষের দ্বিপ্রহর নিঃশেষ প্রায়। রোদ ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে দশদিক থেকে। তাম্রধ্বজ এই কুটিরে পা দিল না। গন্ধবতীর পিতামহকে সঙ্গ... বিস্তারিত
রাজা গন্ধর্ব সেনের দুই রানী ছিল, দুই রানীর দুই পুত্র, তাছাড়াও ছিল গণিকা রসমঞ্জরী, রসমঞ্জরীর কথা জানতো খুড়িমা, এখন যার কথা শোনা যায় গণিকা দ... বিস্তারিত
দু-ঢোক সুরাপানে উদ্ধবের নেশা হয়ে গেছে। ঝিম ঝিম করছে শরীর। ঘরের আলো তার চোখে এখন আরও উজ্জ্বল। পেটিকা উপুড় করে দিয়েছ চতুরিকা তার সাজানো শয... বিস্তারিত
উদ্ধবনারায়ণ এসেছে মার্জারিকা চতুরিকার গৃহে। অঘ্রান পূর্ণিমার রাতে তার ঘরে আসবে বলেছিল উদ্ধব, সে আর কোনো অতিথি নেয়নি। দুয়ার থেকে ফিরিয়ে দিয়... বিস্তারিত
রাজমহিষী ভানুমতীর প্রসাধন সম্পূর্ণ হলো প্রায়। বুড়ি দাসী নিপুণিকা তাঁকে পর্যবেক্ষণ করছে। যদি কোথাও খুঁত থেকে যায়। রাজমহিষী দাঁড়িয়েছেন। দর্... বিস্তারিত
অবন্তীর পশ্চিমে সৌরাষ্ট্র দেশ। সৌরাষ্ট্রের উত্তরে মরু। অপরা সমুদ্রের তীরবর্তী ওই দেশটি গুর্জরদের বাসভূমি। গণিকা দেবদত্তার দেহে গুর্জর রক্ত... বিস্তারিত
রেবা জিজ্ঞেস করল, কতদিন গেল? গন্ধবতী অস্ফুটস্বরে বলে, অঘ্রান মাস যাচ্ছে, আর তিনটি মাস, ছয় পক্ষবাদে চৈতি পূর্ণিমা, ঘোর বসন্ত ছিল, পাতা ঝরছি... বিস্তারিত
এই সময় তো সপ্ত ঋষিরা আকাশে থাকেন না। হ্যাঁ, আপনি তো আকাশ চেনেন মহারাজ। মৃদুস্বরে বললেন আচার্য বৃষভানু, মাঘ মাসে উত্তর আকাশে আবার দেখা দেব... বিস্তারিত
উজ্জয়িনীর পশ্চিমপ্রান্তেই ক্ষিপ্রা প্রকৃতির শিপ্রা নদী, দক্ষিণ থেকে উত্তরে বহেছে। শিপ্রার তীর ধরে অনেকটা পথ এগিয়ে, শেষ পর্যন্ত নদীকে ফেলে রে... বিস্তারিত
রাজকর্মচারী উদ্ধবনারায়ণের হাঁকডাক বেশি। ক্ষমতার অতিরিক্ত ক্ষমতা সে ধরে কিনা সেই পরীক্ষা হয়নি। কিন্তু সে তো বলে তাই। খর্বাকার মানুষ, গায়ে পী... বিস্তারিত
অমর মিত্রের ‘ধ্রুবপুত্র’ একটি কালজয়ী উপন্যাস। ধ্রুবপুত্র উপন্যাসের জন্য অমর মিত্র ২০০৬ সালে আকাদেমি পুরস্কার পান। এই উপন্যাসের পটভূমি প্রাচী... বিস্তারিত
বাজার বসবে নাকি, বাজার? রাঙামাটির বুড়ো নয়নচাঁদ জিজ্ঞেস করল, সংক্রান্তির বাজার? বাজার না বসলে লোকে যাচ্ছে কোথায়? এক বুড়ি হাঁচড়-পাঁচড় করে হা... বিস্তারিত
এই যে সে বাস টার্মিনাসে এসে ঘােরাফেরা করছে। তাকে যেতে হবে সেই বাড়িটায় যে বাড়িতে এ জীবনের অনেক বছর কেটেছিল। বাড়িটার কথা তার বেশ মনে আছে। ব... বিস্তারিত
বাড়িটা তাদের ঠাকুরদা করে গিয়েছিল। দোতলা। নিচে দুটি ঘর, উপরে দুটি। এক সময় দুই ছেলে দুই মেয়ে, ভাই, এক অবিবাহিতা বোন, ঠাকুরদা, ঠাকুমা নিয়ে বাব... বিস্তারিত
ভোরে নেমেছিলাম মধুগঞ্জে। এখান থেকে মাইল দেড় অশ্রুনদী। অশ্রুনদীর ওপারে, উত্তর-পশ্চিমে একটি পাহাড় আছে। ঘুমপাহাড়। পুরাকালে পাহাড় হেঁটে বেড়াত। হ... বিস্তারিত