কাঁচা পাট রফতানিতে শুল্কারোপ, অর্থ মন্ত্রণালয়ে ৫ প্রস্তাব
 প্রকাশিত: 
 ১৬ অক্টোবর ২০২০ ২২:২৫
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৪৯
                                
প্রভাত ফেরী: দেশে পাট শিল্প বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় কাঁচা পাট রফতানিতে প্রতি টনে আড়াইশ’ মার্কিন ডলার (দেশীয় মুদ্রায় ২১ হাজার ২৫০ টাকা) শুল্কারোপসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয়েছে। অন্য প্রস্তাবগুলো হচ্ছে- নিুমানের পাট রফতানি বন্ধ, লাইসেন্সবিহীন অসাধু ব্যবসায়ীদের কেনাবেচা ও মজুদ থেকে বিরত রাখা।
পাশাপাশি লাইসেন্সধারী ডিলার, আড়তদাররা এক হাজার মণের অতিরিক্ত পাট এক মাসের বেশি মজুদ রাখলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ও সামুদ্রিক বন্দরের মাধ্যমে কাঁচা পাট রফতানি করা। কোভিড-১৯ এর প্রভাবে চলতি বছর প্রায় ১০ লাখ বেল উৎপাদন কমবে এমন আশঙ্কা পাট শিল্প মালিকদের। ফলে পাটের অভাবে শিল্প বন্ধ হতে পারে এ ধরনের পর্যবেক্ষণ থেকে এ প্রস্তাব যৌথভাবে দিয়েছে বাংলাদেশ জুট মিলস ও স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন। বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ধারণা করা হচ্ছে করোনার কারণে এবার ৩৫ শতাংশ পাট উৎপাদন কম হবে। ফলে অন্য বছরের তুলনায় মিলগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী পাট পাওয়া যাবে না। এ জন্য রফতানিকে নিরুৎসাহিত করা না হলে পাটের অভাবেই অনেক মিল বন্ধ হবে। তিনি বলেন, বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখন পাটের দাম বৃদ্ধির কারণে কৃষক মূল্য পাচ্ছে এমন আবেগ দেখানো হচ্ছে। কিন্তু এটি ফড়িয়াদের কারণে বাড়ছে। এ অনিয়ন্ত্রিত বাজার ভবিষ্যতের জন্য ভালো নয়। এ জন্য লাইসেন্স ছাড়া পাট ব্যবসা বন্ধ এই আইনটি বাস্তবায়ন করতে হবে। অনেক ব্যবসায়ী পাট কিনে মজুদ করছে যাদের কোনো লাইসেন্স নেই।
সূত্র জানায়, স্থলবন্দর দিয়ে পাট রফতানির সময় অনিময় হয়। আন্ডার ও ওভার ইনভয়েসের মাধ্যমে দুর্নীতি করা হয়। এটি নিরুৎসাহিত করতে সামদ্রিক বন্দর দিয়ে কাঁচা পাট রফতানি করার প্রস্তাব দিয়েছে শিল্প মালিকদের উভয় অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়া বিদ্যমান আইনে আছে ব্যবসা করতে হলে পাট অধিদফতর থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু অভিযোগ হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে অনেকে এ ব্যবসা করছেন যাদের কোনো লাইসেন্স নেই। অবৈধ ফড়িয়ারা যেন এ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে সে জন্য আইনটি কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
বিষয়:

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: