নেই কোন ভোগান্তি, মেলার সব সুবিধাই রয়েছে আয়কর অফিসে
 প্রকাশিত: 
 ১১ নভেম্বর ২০২০ ২৩:০৭
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৪৮
                                
প্রভাত ফেরী: করোনার কারণে এ বছর জাতীয়ভাবে ও বড় আকারে আয়কর মেলা হচ্ছে না। তবে মেলার সব সুযোগ সুবিধাই পাওয়া যাচ্ছে আয়কর অফিসে। করদাতাদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম হলেও ভোগান্তির কোনও অভিযোগ নেই। সহজেই করদাতারা আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারছেন। আয়কর অফিস থেকে করদাতাদের দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সেবাও। রাজধানীর বেশ কয়েকটি কর অফিস ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
এবার এনবিআরের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি কর অঞ্চলে উৎসব মুখর পরিবেশে রিটার্ন জমা নেওয়া হচ্ছে। করদাতাদের মধ্যে অনেকেই ভোগান্তি ও করোনার সংক্রমণ এড়াতে বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউক্যাশসহ ছয়টি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কর পরিশোধ করতে পারছেন। অর্থাৎ আয়কর মেলার আদলে কর অফিসেই করদাতারা পাচ্ছেন ‘ওয়ানস্টপ’ সেবা। তবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করেছে কর অফিসগুলো।
প্রসঙ্গত, গত ১০ বছর পর এবারই প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে আয়কর মেলা হচ্ছে না। তবে মেলার আবহে কর অঞ্চল ও সার্কেলে কর সেবা সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। তাতে করদাতারা রিটার্ন দাখিলসহ সব ধরনের সেবা পাচ্ছেন।
রাজধানীর কয়েকটি কর অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ কর অঞ্চলে মেলার আদলে আলাদা আলাদা বুথে রিটার্ন দাখিল, ই-টিআইএন নিবন্ধনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। করদাতা, সেবাগ্রহীতা ও কর্মকর্তাদের সংস্পর্শ এড়াতে করোনা প্রতিরোধী বুথ স্থাপন করা হয়েছে। করদাতাদের মাস্ক পরিধান ছাড়া সেবা দেওয়া হচ্ছে না। বুথে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও সংক্রমণ রোধে মুখে মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস পরিধান করে সেবা দিচ্ছেন। যেসব কর অঞ্চলে বুথ করার জায়গা নেই সেখানে প্রতিটি সার্কেলে কর তথ্য ও সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে আগত করদাতাদের দেওয়া হচ্ছে হ্যান্ডওয়াশ, স্যানিটাইজার। রিটার্ন জমা দেওয়ার পরপরই দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে।
কর অফিসগুলো থেকেই বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে রিটার্ন ফরম, চালান ফরম, আয়কর পরিপত্র ও নির্দেশিকা। অফিসগুলোতে সিসি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে সমস্ত কাজ। কমিশনার থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বুথ পরিদর্শন ও সেবায় যাতে বিঘ্ন না ঘটে তার তদারকি করছেন। আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া উপলক্ষে প্রতিটি কর অঞ্চল, সার্কেল অফিস সরকারের উন্নয়নের চিত্র সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে, করা হয়েছে আলোকসজ্জা।
রাজধানীর পল্টনে কর অঞ্চল-১২তে রিটার্ন জমা দিতে আসা কয়েকজন করদাতা জানান, মেলার চেয়ে কম সেবা দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিটি কর অঞ্চলে দ্রুত সময়ে ও আন্তরিকতার সঙ্গে কর্মকর্তারা সেবা দিচ্ছেন। এনবিআরের কর্মকর্তারাও বলছেন, মাসের প্রথম দিকে করদাতার সংখ্যা কম। দিন যত যাচ্ছে করদাতাদের ভিড় বাড়ছে।
কর অঞ্চল-১২ এর ভবনটির প্রবেশপথ থেকে শুরু করে পুরো কর অঞ্চল নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে। দেওয়ালে সাঁটানো হয়েছে উন্নয়নের চিত্র। করোনা সতর্কতায় বিধি নিষেধ সম্বলিত সর্তকবাণীও রয়েছে। কর তথ্য ও সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সংক্রমণ রোধে রিটার্ন দাখিল ও প্রাপ্তি স্বীকারপত্র হাতের পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে করদাতাদের বুথ ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে।
কর কমিশনার আবদুল মজিদ বলেন, মেলার আদলে কর অফিসেই করদাতাদের সব ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সেবা গ্রহণে করদাতাদের এবং সেবা প্রদানে কর্মকর্তাদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। করদাতার সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
বিষয়:

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: