সিডনী সোমবার, ১৩ই মে ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১

তুরস্কে পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক হ্রাসের আহবান জানালেন বাংলাদেশি ব্যবসায়িরা


প্রকাশিত:
৬ অক্টোবর ২০২২ ০১:৩৪

আপডেট:
১৩ মে ২০২৪ ১৩:২৭

 

তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রী ড. মেহমুদ মুসের সঙ্গে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান গত রোববার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সাক্ষাৎ করেন।
এসময় ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৯শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের হলেও, তা এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তবে পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং কর সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা নিরসনের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২ বিলিয়ন ডলারের উন্নীত করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। এজন্য তিনি বাংলাদেশের ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ২৮টি হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য তুরস্কের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, বি টু বি ম্যাচ-মেকিং, পণ্য প্রদর্শনী, সেমিনার ও আলোচনা সভা এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক আয়োজনের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বৃদ্ধির যথেষ্ট সম্ভবনা রয়েছে। বর্তমানে তুরস্কে রপ্তানিকৃত বাংলাদেশি পণ্যের ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ শুল্ক সুবিধা পেয়ে থাকে, যা বৃদ্ধির আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি। তিনি জানান, বাংলাদেশে উৎপাদিত সিরামিক ও তৈরি পোশাক তুরস্কের বাজারে রপ্তানির ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১৯ ও ১৭ শতাংশ হারে শুল্ক প্রদান করতে হয় এবং নির্ধারিত এ শুল্ক হার কমানোর ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
দু’দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনও আশানুরূপ নয় বলে উল্লেখ করে তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রী ড. মেহমুদ মুস বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের উন্নয়নে আমাদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে।’ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ একটি উৎকৃষ্ট গন্তব্যস্থল উল্লেখ করে তিনি জানান, তুরস্কের বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে সফলভাবে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে এবং তুরস্কের প্রতিষ্ঠানসমূহের এ ধরনের সাফল্য আরও প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।
তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top