সিডনী শনিবার, ১১ই মে ২০২৪, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১

বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা আরো কমেছে


প্রকাশিত:
৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:১৩

আপডেট:
১১ মে ২০২৪ ১৭:২১


ডলারের বাজারে অস্থিরতা, এলসি খোলার পরিমাণ কমে যাওয়া, ঋণখেলাপি বেড়ে যাওয়া, ব্যাংক খাতে তারল্য সংকটের কারণে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমেছে। চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাসেও বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি এক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে।

জুলাই-আগস্টের কোনো মাসেই আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি ব্যাংক খাত। আগস্ট মাসে এই খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯.৭৫ শতাংশ। এর আগের মাসেও প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯.৮২ শতাংশ। আগস্টের এই প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশ ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১.১৫ শতাংশ কম। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে বেসরকারি খাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০.৯০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।


চলতি অর্থবছরের প্রথম মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমানো হয়। তখন অর্থনীতিবিদরা বলেছিলেন, আমাদের দেশে বিনিয়োগ হয় ব্যাংক খাতের মাধ্যমে। নতুন বিনিয়োগ মানেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি। লক্ষ্যমাত্রা কমানোর ফলে এটি বিঘ্নিত হতে পারে।


বিনিয়োগের অগ্রগতি স্তিমিত হতে পারে। এর ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে কর্মসংস্থানে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট মাস শেষে বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। তখন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ঋণে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৭৫ শতাংশ। এ ছাড়া আগের মাসের তুলনায় খাতটিতে ঋণ বেড়েছে ৯ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।


আগের মাস জুলাইয়ে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এই খাতে ঋণ বেড়েছে ৯ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। এ ছাড়া ২০২২ সালের আগস্টে ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল।

সাধারণভাবে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে থাকে। তবে ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো তা নেমে যায় ৯.৮৭ শতাংশে। করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর ব্যাপক হারে কমে গিয়ে ২০২০ সালের মে মাসের শেষে প্রবৃদ্ধি নামে ৭.৫৫ শতাংশে। তবে পরের মাস জুন থেকে তা অল্প অল্প করে বাড়তে থাকে।

আর্থিক সংকটের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এসবের ঢেউ বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করেছে। এই সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করছে। এতে রিজার্ভের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

গতকালও রিজার্ভ থেকে ৩৫০ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়। এর ফলে বর্তমানে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১০৫ কোটি ডলারের কাছাকাছি।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top