সিডনী রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১


সিডনিতে অনুষ্ঠিত হলো রেমিয়ানস অস্ট্রেলিয়ার বর্নাঢ্য বার্ষিক পুনর্মিলনী : সালেহ আহমেদ জামী


প্রকাশিত:
১০ নভেম্বর ২০২২ ০৩:২৬

আপডেট:
৫ মে ২০২৪ ২২:৪৩

 

রেমিয়ানস অস্ট্রেলিয়ার বার্ষিক পুনর্মিলনী এ বছরে রূপ নিয়েছে "রেমিয়ানস অস্ট্রেলিয়া গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন ২০২২" নামের অভাবনীয় এক অনুষ্ঠানে। এ বছরের শুরু থেকে শেষ অব্দি এই মহাযজ্ঞকে ঘিরে বিপুল আয়োজন। কি ছিল না গ্র্যান্ড রিইউনিয়নকে ঘিরে? পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা রেমিয়ান আর অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত রেমিয়ানদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছিল Parkroyal Parramatta'র বলরুম। সুসজ্জিত সাজে যোগ দেওয়া রেমিয়ানস ও রেমিয়ানস পরিবারের সদস্যদের আনন্দমুখের হাসি ছড়িয়ে পড়েছিল সিডনির বসন্ত বাতাসে। এবারের এই আয়োজনকে সফলকাম ও অবিস্মরণীয় করতে আমাদেরই শৈশবের নায়ক, অভিভাবক তথা পরম-পূজনীয় শিক্ষক জনাব ইরশাদ আহমেদ শাহীন স্যার প্রশান্ত পাড়ের এই ভূখণ্ডে চরণ ধূলো ছড়িয়ে এই পর্বকে করেছেন মহিমান্বিত। তাঁদের প্রবল প্রতীক্ষার প্রহরের অবসান হয়েছে শাহীন স্যারের উপস্থিতিতে। যাঁর উপস্থিতি সকলকেই টেনে নিয়ে গিয়েছিল আঁতুরঘর ৫২ একরের সবুজ প্রান্তর “ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে”। তৈরী হয়েছিল চরম আবেগঘন মুহূর্ত। তাঁর বক্তব্যে আমরা চলে গিয়েছিলাম ৩০/৩৫ বছর আগের শ্রেণীকক্ষে। এর রেশ রয়ে যাবে আগামী বহুদিন।

এই দিনটির অপেক্ষায় রেমিয়ানসরা কাটিয়েছে দীর্ঘদিন। অতিমারির কালে ঢুকে যাওয়া ভয় আর শঙ্কা বুকে পাথর চেপে ধরলেও রেমিয়ানসরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাড়িয়েছে সব নাগপাশ। ৬০, ৭০, ৮০ ও ৯০ দশকের সম্মানিত রেমিয়ানরা ছুটে এসেছেন গ্র্যান্ড রিইউনিয়নকে সাফল্যমন্ডিত করতে। তাঁরাই আলোকিত করলেন সতীর্থদের এই দূর পরবাসের মিলন মেলায় যোগদান করে। তাঁদের সহৃদয় উপস্থিতি রেমিয়ান অস্ট্রেলিয়ার গর্ব। আমাদের মাঝে পৃথিবীর নানান প্রান্ত থেকে ছুটে আসা আপনারাই আমাদের পরম পাওয়া। রেমিয়ানস অস্ট্রেলিয়া পরিবারের প্রতিটি সদস্যের মনে আজ আনন্দের ফল্গু ধারা। হৃদয় আজ প্রসারিত সম্মুখের পানে ছুটে যেতে।



চির স্মরণীয় এই আয়োজন যেন শুরু হয় আগামীর সমস্ত সুন্দরের। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যাঁরা এই মিলন মেলার সারথি হয়েছেন তাঁরাই পূজ্য। যাঁরা অংশগ্রহন করেছেন সহস্র কিলোমিটার দূর থেকে তাঁরাই তৈরী করে নিলেন পথ। যে পথের কিনারায় দাঁড়িয়ে হারিয়ে যাওয়া যায় আমাদের আঁতুরঘর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের সেই খোলা মাঠে। যার আবহে বারবার ফিরে আসে ৫২ একরের সেই সবুজ চত্বরের অনাবিল আনন্দময় অতীত। মনের অলিন্দে ধরা দেয় তেজোদীপ্ত বর্তমান এবং গৌরবময় ঐতিহ্য। রেমিয়ান ও রেমিয়ান পরিবারের নানা পরিবেশনা রাতের আকাশকে করেছে দ্যুতিময়। আগামীদিনের পারফর্মাররা তৈরী হয়ে যাচ্ছে এমনটাই প্রতীয়মান। নাচ-গান-কবিতা, স্মৃতিচারণ, স্পোর্টস ফেস্টিভ্যালের পুরস্কার বিতরণীসহ নানান আয়োজন করেছে গ্র্যান্ড রিউনিয়নকে চির স্মরণীয়।

 



কোন একটি সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক পদটি থাকতে ও রাখতে হয় জন্যই রেমিয়ান অস্ট্রেলিয়াও রেখেছে। কার্যত এ পদের মূল কাজ হলো সদস্যদের মাঝে বুনট তৈরি করা। আমি সেই চেষ্টাই করছি প্রাণপণ। এই গুরু দায়িত্ব পালনে চলার পথে সর্বদা স্বীয় হৃদয়ে অনুরণন তোলে কবি গুরুর "আমরা সবাই রাজা আমাদেরই রাজার রাজত্বে, নইলে মোদের রাজার সনে মিলবো কী শর্তে?" ছত্রগুলি। গত এক যুগ ধরেই নানান দায়িত্ব অর্পিত হওয়ার পর থেকে অদ্যবধি একটাই চেষ্টা আর সে হলো বিদেশ বিভুঁয়ে বসে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে কাটানো জীবনের সেরা সময়কে কিছুটা হলেও ফিরিয়ে আনা, বর্ধিত পরিবারে ও সংযুক্ত সকলের মাঝে উচ্ছলিত জীবনের ঝংকার তুলে দেওয়া এবং নীরবে-নিভৃতে সৃষ্টিশীলতার পথে আগামী ও বর্তমানের চেনা-শোনা-জানা মানুষদের মাঝে সেতু নির্মাণে সহায়তা করা। গত ১৩ বছর যাবৎ এই চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং আগামীতেও এর কলেবর বৃদ্ধি পাবে নিশ্চিত করেই বলা যায়।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top