সিডনী সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত : মোঃ ইয়াকুব আলী


প্রকাশিত:
৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৩৭

আপডেট:
৬ মে ২০২৪ ২২:২০

 

সিডনী প্রবাসী বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বড় সংগঠন অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টার ইন্ক্ সংক্ষেপে AMWC. AMWC ২০০৮ সাল থেকে বাৎসরিক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে থাকে। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও তাদের বাৎসরিক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে গত ২রা এপ্রিল ২০২৩ রবিবার মিন্টোর ইনডোর স্পোর্টস স্টেডিয়ামের হল বি'তে।
AMWC'র সভাপতির সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয় এই মাহফিল। শুরুতেই AMWC'র খতিব হাফেজ আবদুল হাদী তানভীর পবিত্র রমজানের তাৎপর্য আলোচনা করে বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর বক্তব্য রাখেন AMWC'র সভাপতি ডঃ আনিসুল আফসার, সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান খান মুন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বৃন্দ।



সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক তাঁদের বক্তব্যে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তার মধ্যে ছিল AMWC-তে জমায়েতের সংখ্যা সীমার বাধ্যবাধকতা। জুম্মার নামাজের সময় বিশেষকরে রমজানের জুম্মার নামাজে জমায়েতের ব্যাপারে কাউন্সিলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এ সময় জমায়েত সবসময়ই বেশি হয় তাই একটু নিয়মের ব্যত্যয় হতেই পারে। আর আমরা তো ধর্ম পালন ব্যাতিত অন্য কোন কাজ করছি না। তাহলে এই বিষয়টা অবশ্যই কাউন্সিলের বিবেচনায় রাখা উচিৎ।
ইফতার মাহফিলের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন ২০০৮ সালে আমরা যখন মিন্টো মসজিদে ইফতারের আয়োজন করি তখন মাত্র দেড়শ মানুষের আয়োজন করা হয়েছিল। পনের বছরের ব্যবধানে আজকে আমরা পনেরশ লোকের ইফতারের আয়োজন করেছি। তবুও অনেকেই ইফতারের বক্স পাননি বলে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন গত আট বছরের এতদঞ্চলে মুলসিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় দশ গুণের অধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে এই বিষয়টার প্রতিও সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেন।


এরপর বক্তব্য রাখেন স্থানীয় কাউন্সিল নেতৃবৃন্দ এবং ম্যাকুয়ারিফিল্ডস অঞ্চলের স্টেট এমপি আনুলাক চান্তিভং। তিনি তাঁর বক্তব্যে তাঁকে আমন্ত্রণ করার জন্য AMWC নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সবাইকে রমজানের মোবারকবাদ জানান। তিনি বলেন তিনি সবময়ই স্থানীয় কমিউনিটির সমস্যা এবং সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করেন। তিনি অবশ্যই উদ্ভুত বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করবেন।
মিন্টো ইনডোর স্পোর্টস স্টেডিয়ামের হল বি কানায় কানায় ভরে ওঠে রোজাদারদের ভিড়ে। এরপর আজানের মাধ্যমে সবাই একসাথে ইফতার এবং মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে সকলের মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top