সিডনী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


চীনা ল্যাবে করোনা উৎপত্তির কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি: স্কট মরিসন


প্রকাশিত:
২ মে ২০২০ ২১:২০

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০২:৫৬

 

প্রভাত ফেরী: বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টিকারী নভেল করোনাভাইরাস কি উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে? গোটা বিশ্বে এখন এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আমেরিকার দাবি, উহানের ওই ভাইরোলজি ল্যাবরেটরি থেকেই লিক হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই  ভাইরাস। এই বিষয়ে আমেরিকা রীতিমত তদন্ত শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তো হুমকি দিয়ে রেখেছেন, চীনের কাছ থেকে বড় অংকের ক্ষতিপুরণ আদায় করে ছাড়বেন। এরসাথে যুক্ত হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করে তোলেন তিনি। তবে এখন তিনি বলছেন, চীনের উহান শহরের গবেষণাগারে ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার তিনি বলেন, মহামারি কীভাবে শুরু হয়েছে তা বোঝার জন্যই তদন্তের আহ্বান জানান তিনি আর তা থেকে তৈরি হওয়া দ্বিধা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে গবেষণাগার তত্ত্ব সৃষ্টি হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

শুক্রবার মরিসন জানিয়েছেন, করোনার উৎপত্তি উহানে দাবি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে তত্ত্ব হাজির করেছেন তার সমর্থনে অস্ট্রেলিয়ার কাছে কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই।  করোনার প্রাদুর্ভাব কিভাবে শুরু হয়েছিল এবং এটি কিভাবে এত দ্রুত বিশ্বে ছড়িয়েছে সে বিষয়ে তদন্তের জন্য তিনি যে আহ্বান জানিয়েছিলেন এই সংশয় তাকেই সমর্থন করছে।

মরিসন বলেন, আমাদের কাছে আগে যেসব তথ্য ছিল সেগুলো উৎসের ব্যাপারে ইঙ্গিত দেয় না। আমরা জানি এটা চীন থেকে শুরু হয়েছিল, আমরা জানি এটা উহান থেকে শুরু হয়েছিল, সম্ভাব্য চিত্রটি হচ্ছে এটি বণ্যপ্রাণীর চোরাই বাজার থেকে শুরু। তবে এটা এমন ব্যাপার যা পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন করতে হবে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংস্থা উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলোজি ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞও বিশ্বাস করে থাকেন ভাইরাসটি উহানের একটি বণ্যপ্রাণী বিক্রি হওয়া বাজার থেকে সৃষ্টি হয়। আর সেখান থেকেই তা পশু থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে। বাদুড় কিংবা প্যাঙ্গোলিন থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার বেশি সম্ভাবনা রয়েছে বলেও অনেকে মনে করেন।

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে করোনাভাইরাসের মহামারি নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানান স্কট মরিসন। এরপরই অস্ট্রেলিয়া ও চীনের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। এই তদন্তের আহ্বানকে বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন প্রচারণা হিসেবে দেখতে শুরু করে। তবে মরিসনের দাবি, ভাইরাসটি কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পেরেছে তা বোঝার জন্যই তদন্তের আহ্বান জানান তিনি। মরিসন বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে এধরনের আরেকটি বিপর্যয় ঘটা যেন এড়ানো যায় সেকারণেই করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে কী ঘটেছে তা বোঝা জরুরি।’

স্কট মরিসনের আহ্বানের পর অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বেইজিংয়ের দূত বলেন, তদন্তের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হলে চীনের ভোক্তারা অস্ট্রেলিয়ার গরুর মাংস, ওয়াইন, পর্যটন এবং বিশ্ববিদ্যালয় বয়কট শুরু করে দিতে পারে। তবে মরিসন সরকারের মন্ত্রীরা একে ‘অর্থনৈতিক প্রতিশোধের হুমকি’ আখ্যা দেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top