সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


করোনায় বিপর্যস্ত কলকাতায় ডেঙ্গুর হানায় আক্রান্ত ২


প্রকাশিত:
১১ জুন ২০২০ ২৩:৫৯

আপডেট:
১২ জুন ২০২০ ০০:১৭

 

প্রভাত ফেরী:  একে তো করোনায় বিপর্যস্ত জনজীবন এরই মধ্যে কলকাতায় নিঃশব্দে হানা দিল ডেঙ্গু। শহরে এক কিশোর এবং এক প্রৌঢ় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বলে খবর পাওয়া গেছে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বছর তেরোর এক কিশোরের বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ এলাকায়। জ্বর-সহ নানা সমস্যা দেখা দেওয়ায় সম্প্রতি তাকে পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়। প্রথমে নিয়মমাফিক করোনা টেস্ট করা হলেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এর পরে রক্ত পরীক্ষা করা হলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই কিশোরকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

এ দিকে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মিডলটন স্ট্রিটের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়ও। মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। জ্বর-অসুস্থতা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা ওই প্রৌঢ়কে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রথমে করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় পরে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। আর তখন ডেঙ্গু ধরা পড়ে।

করোনা আতঙ্কে বিপর্যস্ত জনজীবন। এর মধ্যেই ডেঙ্গুর কথা সাধারণ মানুষ প্রায় ভুলতে বসেছিল। এই সময়ে ফের শহরে ডেঙ্গুর হানা। জল জমা নিয়ে এখনই সতর্ক না-হলে গত বছরের মতো এ বারও বিপদ ঘনাতে দেরি হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি না হলেও মশা যাতে বংশ বিস্তার করতে না- পারে, সে দিকে এখন থেকেই খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোটখাটো পরিসরের জমা জলই ডেঙ্গু মশার জন্য আদর্শ ধাত্রীভূমি। মাঝেমধ্যে যা বৃষ্টি হচ্ছে তা এতটাই মাঝারি মানের যে, জমে থাকা লার্ভা ধুয়ে ভাসিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই। অথচ নতুন করে ছোট পরিসরে অনেক জায়গায় জল জমবে। ফলে মশার বাড়বাড়ন্ত বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, বংশানুক্রমে ডিম ও লার্ভার মাধ্যমে ডেঙ্গুর ভাইরাস সংক্রমিত হয় পরবর্তী প্রজন্মের মশায়। ফলে গত মরসুমে এডিসের পাড়া সেই ডিম বা লার্ভা হয়তো সুপ্ত অবস্থায় আছে অনেক জায়গাতেই এবং জমা জলে পুষ্ট হয়ে সে সব ফুটে জন্মানো মশাও মানুষকে সংক্রমিত করতে সক্ষম।

 


বিষয়: ডেঙ্গু


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top