সিডনী শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


যুদ্ধে জড়ালো আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান


প্রকাশিত:
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:১৩

আপডেট:
১৭ মে ২০২৪ ২২:২২

 

প্রভাত ফেরী: বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ এলাকা নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। সীমান্তে সেনাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, সংঘর্ষের সময় আজারবাইজানের কয়েকটি হেলিকপ্টার ও ট্যাংক বিধ্বস্ত হয়েছে। উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আর্মেনিয়া জানিয়েছে, আজারবাইজানের পক্ষ থেকে আকাশ পথে ও কামান নিয়ে হামলা চালানো হয়। এরপর তারা মার্শাল ল জারি করে সেনাবাহিনীকে সীমান্তে পাঠানা হয়। আজারবাইজান বলছে, হামলার শিকার হওয়ার পর তারা পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উভয় দেশকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে। ১৯৯১ সালে ভেঙে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান।

আর্মেনিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্মেনিয়ার ১৬ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে আহত হয়েছে আরও শতাধিক। অপরদিকে, আর্মেনিয়ায় আরও দু'জন বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নারী ও একজন শিশু। এছাড়া আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোলাবর্ষণে আজারবাইজানের একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

প্রতিবেশী এই দু'দেশই এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর তারা দু'টি স্বাধীন দেশে পরিণত হয়। আর্মেনিয়া বলছে, আজারবাইজান প্রথমে বিমান ও কামান দিয়ে হামলা শুরু করেছে। পরবর্তীতে তারা সামরিকভাবে এর জবাব দেওয়া শুরু করেছে এবং সামরিক বাহিনী ওই অঞ্চলে হামলার জন্য সংঘবদ্ধ হয়েছে।

অপরদিকে আজারবাইজান বলছে, চারদিক থেকে শুরু হওয়া গোলাবর্ষণের জবাব দিয়েছে তারা। দু'পক্ষই জানিয়েছে যে, এই সংঘাতে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বিতর্কিত ওই অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ চলছে। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার তারা সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দু'দেশকেই তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দু'দেশকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। তবে এ বিষয়ে কর্ণপাত করেনি আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সরকার।

এদিকে, এই সংঘাতের জন্য আর্মেনিয়াকেই দায়ী করেছে আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অপরদিকে, তাৎক্ষণিকভাবে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top