সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১


ফিরে যেতে চাইলে ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার


প্রকাশিত:
৩ জুন ২০১৮ ০৫:২৫

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৪৪

ফিরে যেতে চাইলে ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৭ লাখ রোহিঙ্গা যদি স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে চায় তাহলে সবাইকে ফিরিয়ে নিতে রাজি আমার বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থং তুন।



 



গতকাল শনিবার সিঙ্গাপুরে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্মেলন শাংরি-লা সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। খবর রয়টার্স।



সম্মেলনে মিয়ানমারের নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করা হয়, রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি কি মিয়ানমারকে জাতিসংঘের আরটুপি (রেসপন্সসিভিলিটি টু প্রটেক্ট) ফ্রেমওয়ার্ক চালুর দিকে নিয়ে যাবে?



জবাবে তিনি বলেন, স্বেচ্ছায় যদি ৭ লাখকে ফেরত পাঠানো যায় তা হলে আমরা তাদের নিতে আগ্রহী।



কথিত এই আরটুপি ফ্রেমওয়ার্কটি ২০০৫ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব সম্মেলনে গ্রহণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, জাতিগত নিধনযজ্ঞ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ থেকে নিজ দেশের জনগণকে রক্ষা এবং এ প্রতিশ্রুতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে এক দেশ অন্য দেশকে সহযোগিতা করবে।



মিয়ানমারে জাতিগত নিধন হচ্ছে না দাবি করে থং তুন বলেন, সেখানে কোনো যুদ্ধ চলছে না, তাই এটা যুদ্ধাপরাধ নয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়টি কিছুটা বিবেচনা করা যেতে পারে। কিন্তু আমাদের অকাট্য প্রমাণ লাগবে। এ গুরুতর অপরাধ প্রমাণিত হতে হবে এবং তা নিয়ে হালকাভাবে আলোচনা করা উচিত নয়।



থং তুন বলেন, রাখাইনের যে আখ্যান প্রকাশিত হচ্ছে তা ‘অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর। রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে যে মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে মিয়ানমার সেটাকে অস্বীকার করছে না। রাখাইনের মুসলিম জনগোষ্ঠী যে ভুক্তভোগী তা অস্বীকার করা হচ্ছে না। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইন, হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুরাও কম নিপীড়িত হচ্ছে না।



নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, দেশকে রক্ষার অধিকার রয়েছে সেনাবাহিনীর। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় তারা আইন লঙ্ঘন করেছে তা হলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।



২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত হত্যা ও নির্যাতন জোরালো করে মিয়ানমার। নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। তাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দফায় দফায় মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আসছে। উভয় দেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে। তবুও রোহিঙ্গাদের ফেরত নিচ্ছে না মিয়ানমার। আদৌ এসব রোহিঙ্গা ফেরত যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।



এদিকে মিয়ানমারে এ গণহত্যাকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দাতা সংস্থা জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top