সিডনী সোমবার, ১৩ই মে ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১


ব্রেক্সিটের পক্ষে রায়: ফের যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন


প্রকাশিত:
১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ২২:২৫

আপডেট:
১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:৪৬

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ব্রেক্সিট ইস্যুতে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আহ্বানে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন। এ নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেছে জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি। এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে বরিস জনসনের দল। ফলে এককভাবেই সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ১৯৮৭ সালের পর এটা কনজারভেটিভ দলের জন্য সবচেয়ে বড় জয় এবং ১৯৩৫ সালের পর লেবার দলের সবচেয়ে বড় পরাজয়। বিবিসি।

ব্রিটেনের মোট ৬৫০টি আসনের আইনপ্রণেতা নির্বাচন করতে বৃহস্পতিবার ভোট দেয় ভোটাররা। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে প্রয়োজন পড়ে ৩২৬টি আসন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬৪৯টি আসনের প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী কনজারভেটিভরা পেয়েছে ৩৬৪টি আসন আর লেবার পার্টির জয় ২০৩টিতে।

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে ‘ঐতিহাসিক’ জয় এনে দেওয়ার পর আগামী মাসের মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পন্ন এবং ভোটারদের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ভোটে জিতে সমর্থকদের সামনে জনসন বলেন, যারা ব্রেক্সিটের জন্য ভোট দিয়েছেন, আমি তাদের হতাশ করবো না। কোনও ‘যদি’ বা ‘কিন্তু’ নয়। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রেক্সিট হচ্ছেই। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এমন ঘোষণা দেন তিনি।

১৯৮৭ সালের পর এটা কনজারভেটিভ দলের জন্য সবচেয়ে বড় জয় এবং ১৯৩৫ সালের পর লেবার দলের সবচেয়ে বড় পরাজয়। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন আগামী নির্বাচনে দলের নেতৃত্বে থাকবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তিনি এখনই পদত্যাগ করছেন না। আরো কিছু সময় দলের নেতৃত্বে থাকবেন আলোচনা চালিয়ে যাবার জন্য।

ব্রিটেনের যে এলাকাগুলো লেবার পার্টির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত, সেখানেও এবার ভাল ভোট পেয়েছে কনজারভেটিভরা। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, ব্রেক্সিটের প্রতিশ্রুতি দিয়েই লেবার পার্টির ভোটের একাংশ নিজের দিকে নিয়ে এসেছেন বরিস জনসন। লেবার পার্টির যে সমর্থকরা এবার কনজারভেটিভদের ভোট দিয়েছেন, তাদের উদ্দেশে বরিস জনসন বলেন, ‘যারা কাঁপা কাঁপা হাতে ব্যালট পেপারে ছাপ দিয়েছেন, তাদের হতাশ করবো না। তাদের আস্থার প্রতিবাদ দেবো।’

‘গেট ব্রেক্সিট ডান’ এবারের নির্বাচনে বরিস জনসনের মূল মন্ত্র ছিল এটাই। আর এই মন্ত্রকেই হাতিয়ার করে লেবার সমর্থকদেরও আস্থা অর্জনকে পাখির চোখ বানিয়েছিলেন তিনি। তাই আঘাতটা করেছিলেন একেবারে লেবার পার্টির ঘরে। আর তাতেই কাজ হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। লেবার সমর্থকদের একটা বড় অংশকে নিজের দিকে টেনে এনেই বাজিমাত করেছেন বরিস। শেষ হাসিটাও হাসলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে এক গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দেন যুক্তরাজ্যের ভোটাররা। ব্রেক্সিটের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের শর্ত নির্দিষ্ট করে কয়েক দফায় তৈরি হয় ব্রেক্সিট চুক্তি। তবে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এসব চুক্তি অনুমোদন করেনি। এজন্য পার্লামেন্টে দলের আসন বাড়াতে ১২ ডিসেম্বর আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top