সিডনী মঙ্গলবার, ২১শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


চীনে ‘উহান ভাইরাসে’ আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে


প্রকাশিত:
১৯ জানুয়ারী ২০২০ ২৩:৩২

আপডেট:
২১ মে ২০২৪ ০১:০৩

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন নিউমোনিয়া সদৃশ ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দেশটির সরকারি হিসাবের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নতুন এ ‘উহান ভাইরাসটিতে’ এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হলেও, এ সংখ্যা এক হাজার ৭০০ কাছাকাছি হতে পারে বলে যুক্তরাজ্যের গবেষকরা অনুমান করছেন। বিবিসি।

ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে ভাইরাসটির প্রথম দেখা মেলে। করোনাভাইরাস পরিবারের এ সদস্য এরই মধ্যে দুই ব্যক্তির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। উহান থেকে জাপান ও থাইল্যান্ড যাওয়া আরও তিন ব্যক্তির দেহেও ভাইরাসটির উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

রোগের প্রাদুর্ভাব বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নিল ফার্গুসন বলেছেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমি যতটুকু উদ্বিগ্ন ছিলাম, এখন তার চেয়েও বেশি উদ্বিগ্ন। যেহেতু উহান থেকে অন্য দেশে যাওয়া তিন ব্যক্তির শরীরেও ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে, সুতরাং এটি যে সরকারি তথ্যের চেয়েও বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে।’

সুনির্দিষ্ট করে কতজন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে, তা বলতে না পারলেও, ভাইরাসের প্রকৃতি, জনঘনত্ব এবং ফ্লাইটের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা নিউমোনিয়া সদৃশ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনুমান করছেন।

ইম্পেরিয়াল লন্ডন কলেজের এমআরসি সেন্টার ফর গ্লোবাল ইনফেকশাস ডিজিজ অ্যানালিসিস এ ‘উহান ভাইরাসে’ আক্রান্তের সংখ্যার একটা আনুমানিক হিসাব দাঁড় করিয়েছে। এ সেন্টারটি বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সরকার ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে পরামর্শ দেয়।

সিঙ্গাপুর ও হংকং কর্তৃপক্ষ উহান থেকে আসা বিমান যাত্রীদের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি খতিয়ে দেখছে। যুক্তরাষ্ট্রও শুক্রবার থেকে সান ফ্রান্সিসকো, লস এঞ্জেলস ও নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে একই রকম পরীক্ষা শুরু করেছে। প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ উহানের বিমানবন্দরটি ব্যবহার করে থাকে। প্রতিদিন ৩ হাজার ৪০০ মানুষ আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে এখান থেকে চড়ে বা নামে বলে বিবিসি জানিয়েছে। চীনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ভাইরাসটি মানবদেহ থেকে অন্য মানবদেহে ছড়ায় এমন কোনো লক্ষণ এখনও পাওয়া যায়নি। এটি কোনো প্রাণী দেহ থেকে এসেছে বলেও মনে করছেন তারা।

কর্মকর্তারা বলছেন, উহানের বন্যপ্রাণী ও সামুদ্রিক খাবারের বাজারে কোনো দূষিত প্রাণী থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জানুয়ারির শুরুতেই উহানের ওই বাজারটি বন্ধও করে দেওয়া হয়।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top