সিডনী মঙ্গলবার, ২১শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


সাহায্যের জন্য চীনের আকুতি


প্রকাশিত:
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:১৮

আপডেট:
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:২৬

 

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রাণহানির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে চীনে। ২০০৩ সালের সার্স মহামারির চেয়ে করোনাভাইরাস গুরুতর আকার ধারণ করায় পরিস্থিতি সামলাতে দেশটি হিমশিম খাচ্ছে। সরকার জানিয়েছে জরুরিভিত্তিতে মেডিকেল সরঞ্জাম এবং সার্জিক্যাল মাস্ক প্রয়োজন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তের পর এই ভাইরাসে দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে অন্তত ৩৬২ জনের। সোমবার পর্যন্ত নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২০৫ জনে।
ডিসেম্বরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর গতকাল রোববার একদিনে সর্বোচ্চসংখ্যক ৫৭ জন নিহত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহানে একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে প্রাণীর দেহ থেকে মানুষের মাঝে সংক্রমণ ঘটিয়েছে নতুন এ ভাইরাস।
তখন থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ২৪টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকটে জরুরি অবস্থা জারির পর বিশ্বের অনেক দেশ চীন থেকে আসা মানুষদের প্রবেশে নজিরবিহীন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চীনের বাইরে রোববার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের প্রাণহানি ঘটেছে ফিলিপাইনে।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেছেন, এই মুহূর্তে চীনের জন্য জরুরিভিত্তিতে মেডিকেল মাস্ক, সুরক্ষা স্যুটস এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা চশমা দরকার।
গুয়াংডং-সহ দেশটির যেসব প্রদেশের বাসিন্দা ৩০ কোটির বেশি সেসব শহরে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর প্রত্যেকের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু দেশটির কারখানাগুলোর দিনে মাত্র ২ কোটি মাস্ক তৈরির সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনের শিল্প-প্রতিষ্ঠানবিষয়ক বিভাগের মুখপাত্র তিয়ান ইউলং।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ ইউরোপ, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাস্ক আনার পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, কাজাখস্তান, হাঙ্গেরি-সহ বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি দেশ মেডিকেল সহায়তায় হাত বাড়িয়েছে।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top