সিডনী মঙ্গলবার, ২১শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


থাইল্যান্ডে উন্মত্ত সেনার এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত ২০


প্রকাশিত:
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:৫৮

আপডেট:
২১ মে ২০২৪ ০৩:৫৯

ছবি: সংগৃহীত

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নাখন রাচাসিমা শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় দেশটির সেনাবাহিনীর এক সদস্যের এলোপাতাড়ি গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে ওই সেনাসদস্য হঠাৎ রাচাসিমায় এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে অন্তত ২০ জনের প্রাণহানি ঘটে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম খবর দিয়েছে।

দেশটির পুলিশের এক মুখপাত্র ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ওই বন্দুকধারী মেশিনগান ব্যবহার করেছেন। নিরীহ মানুষদের লক্ষ্য করে চালানো গুলিতে ২০ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, জাক্রাফ্যান থম্মা নামের একজন জুনিয়র কর্মকর্তা একটি সামরিক শিবির থেকে বন্দুক ও গুলি চুরি করার আগে তার কমান্ডিং অফিসারের ওপর হামলা চালান। এরপর তিনি শহরটির একটি বৌদ্ধ মন্দিরে ও বিপণি বিতানে গুলিবর্ষণ করেন। এসব হামলায় ২০ জন নিহত হন যাদের বেশিরভাগই নিরীহ পথচারী।

দেশটির পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, ওই বন্দুকধারী মেশিনগান ব্যবহার করেছেন। নিরীহ মানুষদের লক্ষ্য করে চালানো গুলিতে অনেকে আহত এবং নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমি এই মুহূর্তে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারছি না। পুলিশ ওই এলাকায় মানুষের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।

বন্দুকধারীকে থাই সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মেজর জাক্রাফ্যান থম্মা হিসেবে শনাক্ত করেছে দেশটির পুলিশ। কোরাট শহরের রাচাসিমায় হামলা চালানোর আগে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি চুরি করেন থম্মা। পরে সেই গাড়ি নিয়ে রাচাসিমায় পৌঁছে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেন তিনি।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ছবি এবং ভিডিওতে আতঙ্কিত লোকজনকে প্রাণ বাঁচাতে ঘটনাস্থল থেকে চারদিকে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। কোরাট পুলিশ বলছে, রাচাসিমায় শপিংমলের ২১ নম্বর টার্মিনাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও ওই বন্দুকধারীকে গ্রেফতার করা যায়নি।

ব্যাংকক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাকারী ওই সেনাসদস্য সেনাবাহিনীর একটি শিবিরে প্রথমে তার কমান্ডারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। ওই সময় আরও দুই সেনাসদস্যকে গুলি করে স্বয়ংক্রিয় একটি রাইফেল নিয়ে পালিয়ে যান। পরে মং জেলার শপিং মলের ২১ নম্বর টার্মিনালের দিকে যেতে যেতে গুলিবর্ষণ করেন তিনি।

স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই হামলার দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করেন ওই সেনাসদস্য। শপিংমল এলাকায় হামলা শুরুর দিকে রাইফেল হাতে নিয়ে একটি সেলফি তোলেন তিনি। ফেসবুক লাইভের ক্যাপশনে লেখেন, অনেক বেশি ক্লান্ত। এই পোস্টের কিছুক্ষণ পরই ফেসবুক লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। হামলা চলার সময় সন্দেহভাজন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কয়েকটি পোস্টও দেয়।

ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে সে জিজ্ঞেস করেছে তার আত্মসমর্পণ করা উচিত কি না। এর আগে একটি পিস্তলের সঙ্গে তিন সেট বুলেটের ছবি পোস্ট করে সে লিখেছিল, উত্তেজিত হওয়ার সময় এসেছে। এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

সূত্র: আল জাজিরা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top