সিডনী মঙ্গলবার, ২১শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


বিশ্বকাপ শেষেও আলোচনায় দুই প্রেসিডেন্টের ‘ভালোবাসা


প্রকাশিত:
১৮ জুলাই ২০১৮ ০৩:০০

আপডেট:
২১ মে ২০২৪ ০৩:৩১

বিশ্বকাপ শেষেও আলোচনায় দুই প্রেসিডেন্টের ‘ভালোবাসা

১১ শহরের ১২ স্টেডিয়ামে নানা ঘটনা ও নাটকীয়তা শেষে পর্দা নামল রাশিয়া বিশ্বকাপের। জাঁকজমক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে গত ১৪ জুন পর্দা উঠেছিল রাশিয়া বিশ্বকাপের। ১৫ জুলাই, রবিবার ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে পর্দা নামে বিশ্ব-ফুটবলের সবচেয়ে বড় এই মহাযজ্ঞের ২১তম আসরের।



মাসব্যাপী রোমাঞ্চ ছড়ানো এই বিশ্বকাপ ফুটবল বিশ্বকে উপহার দিয়েছে হাসি-কান্না, ঘটন-অঘটন, প্রাপ্তি-হতাশার হাজারো মহাকাব্য। এই স্মৃতিগুলো নিয়েই আরও চার বছর কাটিয়ে দিতে পারবে ফুটবলপ্রেমীরা। অবশ্য পর্দা নামার দুদিন পরও বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা যেন থামতেই চাইছে না।



ঠিক যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই ‘শেষ হইয়াও যেন হইল না শেষ’-এর মতো। এই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন ফাইনালে মুখোমুখি হওয়া দুই দেশ, ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্ডা গ্র্যাবার কিটারোভিচ ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। পুরো বিশ্বকাপজুড়েই অবশ্য আলোচনায় ছিলেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট।



তবে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট আলোচনায় এসেছেন ফাইনালের দিন। ফ্রান্স বনাম ক্রোয়েশিয়ার ফাইনাল দেখতে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন ম্যাখোঁ ও কোলিন্ডা। ভিআইপি বক্সে বসে ক্রোয়েশিয়া-রাশিয়া ও ফিফার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পাশে বসে খেলা উপভোগ করার সময় প্রায়ই ক্যামেরার চোখ খুঁজে বেড়াচ্ছিল তাদের।





ভিআইপি বক্সে দুই প্রেসিডেন্ট। ছবি: সংগৃহীত

৪-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর ভিআইপি বক্সেই ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট। এ সময় চুমু খেতেও দেখা যায় দুজনকে। ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও নজর কাড়েন এই দুই প্রেসিডেন্ট। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানিয়েছেন দুজন।







ফাইনালের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য ছিল, ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো যখন বিশ্বকাপ ট্রফি বিজয়ী দলের হাতে তুলে দিতে যাবেন তার আগে একসঙ্গে সেই ট্রফিতে চুমু খেয়েছেন ম্যাখোঁ ও কোলিন্ডা। সেদিন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের রসায়নের নানা ছবি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।







দুই প্রেসিডেন্টের বন্ধুত্বপূর্ণ এই সম্পর্ককে সাধুবাদ জানিয়েছে ফুটবলবোদ্ধারা। তাদের মতে, একমাত্র ফুটবলই পারে দুই দেশের প্রেসিডেন্টকে এতটা কাছাকাছি আনতে। তবে সমর্থকরা কিন্তু এ নিয়ে হাস্যরস করতেও ছাড়েনি। কেউ কেউ বলছেন, রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রাপ্তি দুই প্রেসিডেন্টের ভালোবাসা!



একজন তো লিখেছেন, ‘আমার দেখা রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা জুটি হচ্ছে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট।’


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top