সিডনী মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪, ১০ই বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নির্ভর চলচ্চিত্রে নারীর প্রতিরূপায়ণ : রাম কৃষ্ণ সাহা


প্রকাশিত:
৫ জুলাই ২০২০ ২২:০২

আপডেট:
৫ জুলাই ২০২০ ২৩:১৮

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নারী-পুরুষের সক্রিয় অংশগ্রহন ছিলো। এক্ষেত্রে কেবল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নয়, বিশ্ব ইতিহাসের দিকে তাকালেও দেখা যাবে, যে কোনো অমানবিকতার বিরুদ্ধে অথবা প্রতিরোধমূলক যুদ্ধে নারীর অবদান কোনো অংশেই কম নয়। তবু বিস্ময়ের বিষয়, মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদানের সঠিক মূল্যায়ন আজো হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নির্মাণ সংস্কৃতির জারি থাকা ধরন এবং বর্ণনায় একদিকে যেমন উপেক্ষিত হয়েছে নিম্নবর্গের কণ্ঠস্বর তেমনি আড়াল করা হয়েছে নারীকেও। ‘ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা’- এরূপ বক্তব্যের আড়ালে মুক্তিযুদ্ধকে মোড়কজাত করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে মুক্তিযুদ্ধের মৌখিক ইতিহাসের ভিত্তিও হয়ে পড়ে লিঙ্গ-পক্ষপাতমূলক। লিঙ্গীয় দ্বি-বিভাজিত অবস্থান বস্তুত নারীর বহুমাত্রিক ভূমিকাকে গায়েব করার চেষ্টা করে। এ-প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ উপস্থাপিত হয়েছে পৌরুষ-দীপ্ত একটি যুদ্ধ হিসেবে এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে রচিত হয় ‘বাংলা মাকে রক্ষা করতে দামাল ছেলেরা যুদ্ধে যায়’, ‘মাগো ভাবনা কেন, আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে, তবু শত্রু এলে অস্ত্রহাতে লড়তে জানি’, ‘বাংলা মার দুর্নিবার আমরা তরুণ দল’, ‘আমায় গেঁথে দাও না মাগো একটা পলাশ ফুলের মালা, আমি জনম জনম রাখবো ধরে ভাই হারানোর জ্বালা’, ‘মাগো আর কেঁদো না, একটি সোনার ছেলে তোমার না হয় গিয়েছে চলে বিনিময়ে দেখ কত কোটি কোটি সন্তান তুমি পেলে’- এর মতো আরো অজস্র গান। শুধুমাত্র গানে নয়, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ধরনের বর্ণনা-বয়ানে নির্মিত হয়েছে কেবলমাত্র পুরুষের গৌরবগাঁথা।

অস্র হাতে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় নারী মুক্তিযোদ্ধারা

“ওরে কেহ কয় না নারীর কথা
সবাই গায় পুরুষের গান,
মুক্তিযুদ্ধে নারী সমাজ
রাখে নাই কি অবদান?”

২০১৩ সালে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ১,৭৭,০০০ মুক্তিযোদ্ধাদের একটি তালিকা প্রকাশ করে। এর মধ্যে ২০৩ জন নারী মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভূক্ত রয়েছেন। খেতাবপ্রাপ্ত মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ২ জন নারী বীর প্রতীক রয়েছেন। তাঁরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি ও ক্যাপ্টেন সিতারা। কিন্তু খেতাবপ্রাপ্ত নারী ও পুরুষ মুক্তিযোদ্ধা অনুপাত ১:৩৩৮ হলেও অংশগ্রহণের অনুপাতটি এতটা ব্যবধান সূচক নয়। বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘স্মৃতি ১৯৭১’-এ চারজন নারী শহীদের কথা জানা যায়। তারা হলেন, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা হোসেন, শহীদ কবি মেহেরুন্নেসা, মাগুড়ার শহীদ লুৎফুন নাহার হেলেন এবং শহীদ ড. আয়েশা বদোরা চৌধুরী। পিরোজপুরের সাহসী নারী ভাগীরথীর কাহিনী মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাসকেই হার মানায়। ভিক্ষুক সেজে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিভিন্ন খোঁজ-খবর তিনি এনে দিতেন মুক্তিযোদ্ধাদের, পরবর্তীতে রাজাকারদের সহায়তায় তিনি ধরা পড়েন পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে। তাঁকে জিপের সঙ্গে বেঁধে হত্যা করা হয়। সেই ভাগীরথীরও স্থান মেলেনি শহীদদের তালিকায়।

তৎকালীন পত্র-পত্রিকায় নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সশস্ত্র সংগ্রামের চিত্র

 

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে আঞ্জুমান আরাকে মালবাহী ট্রেনের গরম কয়লার চুল্লিতে নিক্ষেপ করে মারে বিহারিরা, তাঁর এবং তাঁর স্বামীর অপরাধ, তাঁরা অন্য বাঙালিদের আশ্রয় দিয়েছিলেন তাঁদের বাড়িতে। সিলেটের বিয়ানী বাজারের খাসিয়া মেয়ে কাঁকেট প্রাণ দিয়েছিলেন পাকিস্তানিদের হাতে, মুক্তিবাহিনীর পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে। এ-রকম আরও কতো ইতিহাস রয়েছে! কিন্তু এটাই সত্য যে, পুরুষ শহীদদের তুলনায় নারী শহীদদের স্বীকৃতি হয়নি ইতিহাসে। এদের স্মৃতি-চারণের ক্ষেত্রেও রয়েছে সেই পুরুষতান্ত্রিকতার রাজনীতি। এপ্রিল মাসে দিনাজপুরে নিজের বাড়িতেই শহীদ হন সুরবালা দেবী। একই মাসে সৈয়দপুরে শহীদ হন সাংস্কৃতিক কর্মী ভ্রমর, সুফিয়া খাতুন, হোসনে আখতার (যাঁকে জীবন্ত পুঁতে ফেলা হয়েছিল) ও সরোজিনী মল্লিক। সিলেটের পাত্রখোলা চা-বাগানে শহীদ হন বাবনী রাজগৌড়, লসিমুন কুর্মী, রাঙামা কুর্মী, সালগী খাড়িয়াসহ অনেকে। পটুয়াখালীতে শহীদ হন কনকপ্রভা গাঙ্গুলী, সোনাই রানী সমাদ্দার, বিদ্যাসুন্দরী দাস, সাবিত্রী রানী দত্ত, শান্তি দেবসহ আরও অনেকে। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মধ্য জুলাইয়ে শহীদ হন কিরণ রানী সাহা। অথচ ইতিহাস প্রণেতারা নারী মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযোগ্য বীরের মহিমায় অভিষিক্ত করেন নি এবং এসকল আত্মত্যাগও উপেক্ষা করেছেন। তাদের দৃষ্টিতে নারীরা- পুরুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করে, রান্না করে খাওয়ায় কিংবা আশ্রয় দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে প্রচ্ছন্ন ভূমিকা রাখে। শুধু ইতিহাসের পাতা বা গানে নয় বরং বৈষম্য ও ভ্রান্তির চিত্র আরো প্রতক্ষ্য ও স্পষ্টরূপে ফুঁটে ওঠে চলচ্চিত্রে যেখানে নারীর সশস্ত্র সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরার পরিবর্তে নারীকে অধিকাংশ সময়ই উপস্থাপন করা হয়েছে অবহেলিত ও নির্যাতিতা চরিত্রে।

শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আন্দোলনরত নারীদের একাংশ

মুক্তিযুদ্ধকে অবলম্বন করে ভারতীয় চলচ্চিত্রকার আই জোহরের নির্মিত ‘জয় বাংলাদেশ’ (১৯৭১) সিনেমার অধিকাংশ দৃশ্যেই ছিলো নর্তকীর দেহ প্রদর্শন। এরপর থেকে মুক্তিযুদ্ধে নারী অবদানের চিত্র উঠে না এসে বরং নারীর শারীরিক নির্যাতন, নিপীড়ন এবং এর প্রদর্শনই মুখ্য হতে শুরু করে।

‘জয় বাংলাদেশ’ সিনেমায় নর্তকীর নৃত্য দৃশ্যের উপস্থাপন

আনন্দ পরিচালিত বাঘা বাঙালীতে (১৯৭২) নারীকে যৌনদাসীর চরিত্রে উপস্থাপন করা হয়। সুভাষ দত্তের অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী (১৯৭২), মমতাজ আলীর রক্তাক্ত বাংলা (১৯৭২), শহীদুল হক খানের কলমিলতা (১৯৮১) ইত্যাদি চলচ্চিত্রের উল্লেখযোগ্য অংশে ছিল পাকসেনা ক্যাম্পে আটক নারীর নৃত্য এবং ধর্ষণ দৃশ্যের অযাচিত প্রদর্শন।

আফরোজা বুলবুল,’Screening War: Gender, Sexuality and Nationhood in Cinematic Representation of Liberation War in Bangladesh’ শীর্ষক গবেষণা গ্রন্থে (২০১১) আলোচনা করেন, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রে নারীকে দেখা যায় ধর্ষিতা ও যৌনকর্মীর চরিত্রে। মুক্তিযুদ্ধের ওপরে নির্মিত সর্বাধিক ছবির পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামের ওরা ১১ জন চলচ্চিত্রে নারীকে দুর্বল ও নির্যাতিতার চরিত্রে উপস্থাপন করা হয়। রক্তাক্ত বাংলা (১৯৭২) চলচ্চিত্রের প্রথম দৃশ্যে মুক্তিযোদ্ধা তার ঘরে ফিরে দেখতে পায় তার বোনের ধর্ষিত মৃত দেহ। দৃশ্যে মৃত দেহের অর্ধনগ্ন চিত্র উপস্থাপন করা হয়। আবার একই চলচ্চিত্রের আরেকটি দৃশ্যে নারীকে দেখা যায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যৌনদাসীর চরিত্রে।

 

  ‘ওরা এগারো জন’ সিনেমায় ‘ক্লোজ আপ’ শটে ধর্ষিতা নারীর চিত্রায়ন

 

সৈয়দ শামসুল হকের 'নিষিদ্ধ লোবান' অবলম্বনে নির্মিত 'নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু'র জনপ্রিয় সিনেমা 'গেরিলাতে' উঠে আসে এক গৃহস্থ নারীর গেরিলা যোদ্ধা হয়ে উঠবার কাহিনী। কিন্তু, এখানেও নির্মাতা 'মেল গেইজ' থেকে নিজকে মুক্ত রাখতে পারেনি। নারী গেরিলা চরিত্রে জয়া আহসান এক দৃশ্যে, পাকসেনা ক্যাম্পে বন্দী অবস্থায় থাকে এবং পাকসেনা চরিত্রে শতাব্দী ওয়াদূদ তার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। দৃশ্যটির বিন্যাসে ‘পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি’ প্রতক্ষ্যরূপে পরিলক্ষিত হয়। গেরিলা জয়া আহসানের এলোমেলো বস্ত্র এবং সেটার দিকে তাকিয়ে পাকসেনার উক্তি 'আই এম গেটিং হট নাও' যা প্রবল পুরুষতান্ত্রিক সংলাপ।

‘গেরিলা’ সিনেমায় গেরিলা নারী মুক্তিযোদ্ধার চিত্রায়ন

নন ফিকশানে অনুভুতির মাত্রা ফিকশানের চেয়ে বেশি কাজ করে। সে বিচারে আমাদের প্রজন্ম বঞ্চিতই বলা চলে। কারন, মুক্তিযুদ্ধ নির্ভর প্রামান্যচিত্র হাতে গোনা। আর নারীর উপস্থাপন? নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী একটি প্রামাণ্যচিত্র 'নারীর কথা। ২০০২ সালে তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ পরিচালিত ‘নারীর কথা’ সিনেমায় উপস্থাপন করা হয় ভাস্কর ও বীরাঙ্গনা ফেরদৌসী প্রিয়ভাসিনীকে। পুরো মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি পাক বাহিনীর দ্বারা শারীরিক নিপীড়ন ও মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন।

 স্বাধিকার আন্দোলনে রাজপথে নারীরা         

 

নির্মাতা এখানে ফেরদৌসী প্রিয়ভাসিনীর সাথে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের চিত্র প্রতিরূপায়ণ করেন নি। বরং তার মুখেই শুনিয়েছেন তার মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম। এটা সমাজের কাছে মুক্তির সংগ্রামে সর্বস্ব হারানো নারীর বাস্তব অবস্থান ও পরিনতি আঙুল তুলে দেখাবার মতোই। চিত্রধারনের ক্ষেত্রে কোন চাকচিক্য নেই। একেবারে সাদামাটা প্রামান্যচিত্রটি এ প্রজন্মের কাছে মুক্তিসংগ্রামে নারীর অবদানকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।

                                                      

গত ৪৭ বছরে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৫০ এর কিছু বেশি। ১৯৭১ এ স্বাধীনতার পর বেশ কিছু মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি তৈরি হয় - যা বাণিজ্যিকভাবে প্রদর্শিত হয়েছিল। কিন্তু সেই ধারা খুব বেশি দিন স্থায়ী হয় নি। এখন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র মানেই ধরা হয় যে এগুলো বাণিজ্যিক ধারার বাইরে একরকম বিকল্প ধারার সিনেমা। ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৪২ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২ বার পুরস্কার পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। দুঃখজনক হলেও সত্যি, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্রের জন্য যে জাতীয় পুরস্কারগুলো দেওয়া হয়েছে সেখানে নেই কোনো মুক্তিযুদ্ধের ছবি।

 

রাবেয়া খাতুন, সেলিনা হোসেনের মতো কথা সাহিত্যিকদের গল্প, উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধের নারীর ত্যাগের বিষয়টি উঠে এলেও সুষ্ঠু পরিবেশ এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় এগুলোকে অবলম্বন করে সিনেমা বানাতে দক্ষ নির্মাতারা এগিয়ে আসেন নি। কেবল নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, কামান, গোলাবারুদের মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধকে সীমাবদ্ধ করে রেখেছে। আমেরিকার গৃহযুদ্ধভিত্তিক ডি ডব্লিউ গ্রিফিথের ‘বার্থ অব এ নেশন’, জার বাহিনীর গণহত্যা ভিত্তিক আইজেনস্টাইনের ‘ব্যাটেলশিপ পটেমকিন,’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধভিত্তিক ভিত্তোরিও ডি সিকার ‘টু উইমেন’ যেভাবে যুদ্ধের ভয়াবহ চিত্র সরল ও প্রাসঙ্গিক রূপে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করেছে সেভাবে বাংলাদেশের সিনেমায় মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম, নারীর আত্মত্যাগ, স্বাধীনতা অর্জন ও পরবর্তী দেশের হালচালের চিত্র উপস্থাপিত হয় নি। যথার্থ ইতিহাস জ্ঞান ও শৈল্পিক চেতনার ঘাটতি থাকায় মুক্তিযুদ্ধ নির্ভর প্রাসঙ্গিক সিনেমা নির্মাণে এদেশের চলচ্চিত্রকাররা ব্যর্থ হয়েছেন। একতরফা পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির ফলে সিনেমার মুক্তিযুদ্ধ কেবল পুরুষের রয়ে গেছে যেখানে তীব্র অবহেলিত হয়েছে নারীর সশস্ত্র সংগ্রাম। তবুও আশায় বাঁচি- সকল অজ্ঞান ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে সিনেমার পর্দায় নারী মুক্তিযোদ্ধাদের বীরগাঁথা, গৌরবকথা, আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের প্রকৃত চিত্র উঠে আসবেই।

 

রাম কৃষ্ণ সাহা
চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top