সিডনী শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

নজরুল ইসলামের সাহিত্য ভাবনায় হিন্দু - মুসলমান প্রসঙ্গ : এ. আই. বাবুন


প্রকাশিত:
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:১২

আপডেট:
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:৪১

ছবিঃ কাজী নজরুল ইসলাম

 

'হিন্দু মুসলমানের পরস্পরের অশ্রদ্ধা দূর করতে না পারলে যে এ পোড়া দেশের কিছু হবে না, এ আমিও মানি। এবং আমিও জানি যে, একমাত্র সাহিত্যের ভিতর দিয়েই এ অশ্রদ্ধা দূর হতে পারে' - কাজী নজরুল ইসলাম ।

বাংলা সাহিত্য প্রাঙ্গণে হিন্দু মুসলমান প্রসঙ্গগত প্রেক্ষিত বহুধা বিস্তৃত ব্যপক এবং বৈচিত্রপূর্ণ। হিন্দু সংস্কৃতি এবং মুসলিম সংস্কৃতির আলাদা পৃথক সত্ত্বা ভারতীয় উপমহাদেশে লয়প্রাপ্ত হয়েছে কিছুটা হলেও, একথা বলা চলে। সুদীর্ঘকাল পাশাপাশি, কাছাকাছি থাকতে থাকতে উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা একক প্রায় যোগসূত্র স্থাপিত হয়েছে। অর্থাৎ উভয় সংস্কৃতি পারস্পরকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছে। ফলত, সেই একক সংস্কৃতির ভিত্তিমূল কিছুটা হলেও স্বঅবস্থান থেকে সরে এসেছে। বিষয়টির গ্রহণযোগ্যতার জন্য গবেষক ড. তারাচাঁদ বন্দোপাধ্যায় মহাশয়ের একটি উদ্ধৃতি প্রতিস্থাপন করা যাক, 

'ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু মুসলমানের কোন বিশুদ্ধ স্বতন্ত্র সংস্কৃতি নেই, যা আছে তা ভারতীয় সংস্কৃতি; দীর্ঘকাল একত্রে বসবাস করার ফলে হিন্দু ও মুসলমান ধর্মাচারে ও জীবনাচারণের বহুক্ষেত্রে প্রায় একাত্ম হয়ে গেছে' 

এই যে একাত্মতাবোধের একটা পূর্নাঙ্গ পরিবেশ সুদীর্ঘ সময় ধরে গড়ে উঠল, তার প্রভাব শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবনে নয়, ব্যাপক পরিধিগত ভাবে প্রভাব ফেলল আমাদের সাহিত্যেও। হিন্দু মুসলিম উভয় কাব্যসাধক ও গদ্যকারদের সাহিত্য বেসাতিতে উভয় সম্প্রদায়ের রীতিনীতি, আচার প্রকার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবেই প্রভাব বিস্তার করল। হিন্দু কবির কাহিনী কাব্যে প্রথম মুসলিম প্রসঙ্গ উপস্থাপন করলেন কবি রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়, তাঁর 'পদ্মিনী উপাখ্যান' কাব্যে। পরবর্তীতে আমরা এই বোধের বিকাশ হতে দেখি, হেমচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়, দীনবন্ধু মিত্র, নবীনচন্দ্র সেন প্রমুখের কাব্যকলমে। এছাড়াও ঈশ্বরচন্দ্রগুপ্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মানিক ও তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ  বন্দোপাধ্যায়  প্রমুখের কবিতা এবং গদ্য কথায় বিরাট পেক্ষিত জুড়ে এসেছে মুসলিম চরিত্র ও নানবিধ প্রসঙ্গকথা । মুসলিম কবিদের মধ্যে কায়কোবাদ, গোলাম হোসেন, প্রমুখ কবিদের কাব্যিক গঠনে হিন্দু প্রসঙ্গের অবতারণা হতে দেখি । তবে, মুসলিম কবিদের মধ্যে কাজী নজরুল ইসলামের মত এত ব্যাপক ভাবে হিন্দু মুসলমান প্রসঙ্গ অন্য কোন কবির কাব্যে আসেনি। লক্ষ্য করবার মত বিষয়, অন্যান্য কবিদের থেকে নজরুল ইসলাম সমীপেষুর কাব্যিক কলায় হিন্দু মুসলমান প্রসঙ্গের একটা পৃথক সত্ত্বা বিদ্যমান রয়েছে। আসলে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর ভারতের সাম্যবাদী চিন্তা ও ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক মূল্যবোধে পূর্ণ ছিল নজরুল ইসলামের হৃদয় বিনির্মাণ, যা তাঁর সাহিত্য কলাকে দিয়েছিল এক পূর্নাঙ্গ সংহতি।

নজরুল ইসলামের প্রথম দিককার কবিতা 'খেয়াপারের তরণী' সম্পূর্ণভাবেই ইসলামী ভাবধারা জাত, তবে পরবর্তীকালে সাম্যবাদী ভাবধারায় দীক্ষিত হওয়ার পর নজরুল ইসলামের কাব্যিক ভাববোধের অবস্থান পাল্টে যায়। এক স্বতন্ত্র মানবিক মূল্যবোধ ও  জীবনবোধ দ্বারা নজরুলের পরবর্তী কাব্যললয়ের শরীর গঠিত হয়েছে। কবির বিভিন্ন কাব্য ও গদ্যকলা তার সাক্ষ্য বহন করে। 'নবযুগ' প্রবন্ধে নজরুল লিখলেন, 

'এস ভাই হিন্দু! এস মুসলমান! এস বৌদ্ধ! এস ক্রীশ্চান! আজ আমরা সব গন্ডি কাটাইয়া সব সংকীর্ণতা, সব মিথ্যা, সব স্বার্থ চিরতরে পরিহার করিয়া প্রাণ ভরিয়া ভাইকে ভাই বলিয়া ডাকি। আজ আমরা আর কলহ করিব না'। 

অসাম্প্রদায়িকতার এক মহান পূজারী ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। কোন প্রকার ছুঁৎমার্গ কিম্বা সংকীর্ণতাকে কখনই জীবন ও কাব্যে তিনি প্রশয় দেননি। তাঁর লেখনীর সবটুকুই হিন্দু মুসলিম ঐক্যের পক্ষের  এক মহাসঙ্গীত। নজরুল লিখছেন, 

'হিন্দু হিন্দু থাক, মুসলমান মুসলমান থাক, শুধু একবার এই মহাগগনতলের সীমাহারা মুক্তির মাঝে দাঁড়াইয়া – মানব ! তোমার কণ্ঠের সেই সৃষ্টির আদিম বাণী, ফুটাও দেখি। বল দেখি, 'আমার মানুষ ধর্ম। মানবতার এই মহাযুগে একবার গন্ডি কাটিয়া বাহির হইয়া আসিয়া বল যে, তুমি ব্রাক্ষ্মণ নও, শূদ্র নও, মুসলমান নও, তুমি মানুষ - তুমি সত্য '। 

তিনি সারাটি জীবন এই মানুষের কথা বলেছেন। নিপীড়িত জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর একমাত্র এবং প্রধানতম লক্ষ্য। সাম্য সংহতি এবং মানবতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অপরাজেয় শক্তি ইংরেজের বিপক্ষে দাঁড়াতেও ভয় পাননি সিংহপুরুষ নজরুল। 

'গাহি সাম্যের গান - 
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান 
নাই দেশকাল পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, 
সবদেশে সবকালে ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি'। 

নজরুলের চোখে মানুষ, কেবল মাত্র মানুষই। হিন্দুত্ব কিম্বা মুসলমানিত্ব নেই, সে মানুষ মানবতাবোধে পরিপূর্ণ।

'বিদ্রোহী' কবিতায় হিন্দু মুসলমান উভয় ঐতিহ্য থেকেই  চিত্ররূপ, বাগধরন, রূপক, শব্দআকর সংগ্রহ করেছেন কবি। নজরুলের মধ্যে কোন ছুঁৎমার্গ ছিল না। হিন্দু দেবদেবীকেও ভক্তিভরে তিনি তাঁর কাব্যে দিয়েছেন স্থান। দেবী দূর্গার মূর্তি অঙ্কন করতে গিয়ে কবি লিখলেন, 

'রণ রঙ্গিণী জগৎমাতার দেখ মহারণ 
দশদিকে তার দশহাতে বাজে দশ প্রহরণ 
পদতলে লুটে মহিষাসুর 
মহামাতা ঐ সিংহবাহিনী জানায় আজিকে বিশ্ববাসীকে, শাশ্বত নহে দানবশক্তি, পায়ে পিষে যায় শির পশুর' 

কত্তটা অসাম্প্রদায়িক না হলে, এমন কাব্যভাব প্রতিষ্ঠা করা যায় ? এমনকি নজরুল তাঁর বহু কবিতায় 'বন্দেমাতরম' মন্ত্রোচারণ 'ও করেছেন । লক্ষ্য করবার বিষয় 'বন্দেমাতরম' উচ্চারণে একটা বিরাট আপত্তি সেই সময় মুসলিম সমাজ থেকে উঠেছিল। আসলে, নজরুল ইসলাম সকল ধর্ম সংকীর্ণতার উর্দ্ধে। ১৯২৬ সালের এপ্রিল মাসে কলকাতায় সম্প্রদায়িক দাঙ্গা হলে ব্যথিত নজরুল ' মন্দির মসজিদ' প্রবন্ধে লিখলেন, 

'আল্লার এবং মা কালির প্রেস্টিজ রক্ষার জন্য যাহারা এতক্ষণ মাতাল হইয়া চিৎকার করিতেছিল তাহারাই যখন মার খাইয়া পড়িয়া যাইতে লাগিল, দেখিলাম - তখন আর তাহারা আল্লা মিয়া বা কালী ঠাকুরাণীর নাম লইতেছে না। হিন্দু মুসলমান পাশাপাশি পড়িয়া থাকিয়া এক ভাষায় আর্তনাদ করিতেছে - বাবা গো, মাগো।' 

ওই একই প্রবন্ধে মানবতাবাদী নজরুল লিখলেন, 

'হিন্দুত্ব ও মুসলমানত্ব দুই সওয়া যায়, কিন্তু তাদের টিকিত্ব, দাড়িত্ব অসহ্য, কেননা ঐ দুটোই মারামারি বাধায়। টিকিত্ব হিন্দুত্ব নয়, ওটা পণ্ডিত্ব। তেমনি দাড়িত্ব ইসলামত্ব নয়, ওটা মোল্লাত্ব'। 

কেবল মাত্র কবিতা কিম্বা গদ্যভাবনায় নয় গীতিকাব্য রচনায়ও নজরুল হিন্দু মুসলমান প্রসঙ্গের স্বার্থক ভাবে প্রতিস্থাপন করতে সফল হয়েছেন। রামপ্রসাদ সেনের পর কমলাকান্ত ভট্টাচার্য, দশরথী রায়, কালী মির্জা, রঘুনাথ রায় প্রমুখগণ শ্যামা সঙ্গীত ধারার যে স্রোত প্রবহমান করেছিলেন, সেই ধারাকে পুষ্ট করতে সর্বশেষ এবং শ্রেষ্ঠতম সংযোজন হিসাবে আমরা নজরুলের শ্যামা সঙ্গীত ধারাকে ধরতে পারি। তাঁর শ্যামা সঙ্গীতে দেবী কালিকা নানা মূর্তিতে আবির্ভূত হয়েছে। এছাড়াও, তাঁর দূর্গা বিষয়ক সঙ্গীত, আগমনী গীত, শিব সঙ্গীত, সরস্বতী গীতি এবং শ্রীগৌরাঙ্গ, শ্রীরামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দকে নিয়ে তাঁর স্তুতিমূলক গীতি ও কবিতা সমূহ তাঁকে বিশিষ্টতা দান করেছিল। 

কোন বিশেষ ধর্ম বিশ্বাসের বন্ধনে নজরুল নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। হিন্দুত্ব প্রসঙ্গ যেমন তাঁর কাব্যকলায় এসেছে, তেমনি মহামানব হজরত মুহাম্মদ স . এর স্তুতিমূলক রচনা এবং ইসলামী নানা অনুসঙ্গও  তাঁর কবিতাই এসেছে। 'বিষের বাঁশী' গ্রন্থের অন্তর্গত 'ফাতেহা - ই দোয়াজ দহম' কবিতায় নবী মুহম্মদ এর আবির্ভাব ও তিরোভাবের বর্ণনা এসেছে। নজরুলের প্রায় প্রতিটি কবিতায় হিন্দুত্বের পাশাপাশি এসেছে মুসলমানি প্রসঙ্গও। পূর্বেই নজরুলের শ্যামা সঙ্গীতের কথা বলেছি, তবে কেবলমাত্র শ্যামা সঙ্গীত নয়, নজরুল ইসলাম ইসলামী সঙ্গীত রচনায়ও পথিকৃৎ। আল্লাহর প্রশস্তি, নবী মুহম্মদ স. এর প্রশস্তি, ঈদ, রমজান, কাবা শরীফ, পবিত্র হজ যাত্রা, আজান, পবিত্র গৃহ মসজিদ, মহরম, নবী কন্যা ফাতেমা রা .আরব, মক্কা ও মদিনা সহ একাধিক ইসলামিক অনুসঙ্গ এসেছে ভিড় জমিয়েছে তাঁর কাব্য কবিতায়। 

একেবারেই ছিন্নমূল পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন প্রাণের কবি নজরুল। তিনি যেমন বিরজাসুন্দরী দেবীর স্নেহ সান্নিধ্য পেয়েছেন, তেমনি মিসেস রহমানের অপার মাতৃস্নেহে সিক্ত হয়েছেন, ফলত সম্প্রদায়িক হওয়ার কোন সুযোগই তাঁর ছিল না। সেজন্যই তিনি লিখতে পারেন, 

'বাঙলা সাহিত্য হিন্দু - মুসলমান উভয়ের সাহিত্য। এতে হিন্দুর দেবদেবীর নাম দেখলে মুসলমানদের রাগ করা যেমন অন্যায়, হিন্দুরও তেমনি মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবন - যাপনের মধ্যে নিত্য প্রচলিত মুসলমানি শব্দ তাদের লিখিত সাহিত্যে দেখে ভুরু কোঁচকানো অন্যায়। আমি হিন্দু - মুসলমানের মিলনে পরিপূর্ণ বিশ্বাসী; তাই তাদের এ সংস্কারে আঘাত হানার জন্যই মুসলমানী শব্দ ব্যবহার করি, বা হিন্দু দেব - দেবীর নাম নিই।' 

অন্যত্র তিনি আরও স্পষ্ট ভাষায় লিখলেন, 

'হিন্দু মুসলমানে দিনরাত হানাহানি, জাতিতে জাতিতে বিদ্বেষ, যুদ্ধ বিগ্রহ,' মানুষের জীবনের একদিকে কঠোর দারিদ্র্য, ঋন অভাব - অন্যদিকে লোভী অসুরের যক্ষের ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকা পাষাণ স্তূপের মত জমা হয়ে রয়েছে - এই অসাম্য, এই ভেদজ্ঞান দূর করতেই আমি এসেছিলাম। আমার কাজে, আমার সঙ্গীতে, কর্মজীবনে অভেদসুন্দর সাম্যকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম - অসুন্দরকে ক্ষমা করতে, অসুরকে সংহার করতে এসেছিলাম।' 

বিশিষ্ট সমালোচক ধ্রুবকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর 'ইসলাম ইসলাম কবিমানস ও কবিতা' নামক গ্রন্থের, 'নজরুলের কবিতায় হিন্দু ও মুসলমান প্রসঙ্গ' শিরোনামের প্রবন্ধে  যথার্থই লিখলেন, 

'বাংলা সাহিত্যে বিভিন্ন যুগে হিন্দু - মুসলিম মনোবিকাশের ধারা এবং ঐতিহ্য সচেতনতার যে পরিচয় লক্ষ্য করা যায় নজরুল কাব্যে তারই সমন্বিত রূপ দেদীপ্যমান। উল্লেখযোগ্য যে,  নজরুল ইসলাম এই সমন্বয়ী রূপ সৃষ্টিতেই সন্তুষ্ট থাকতে পারেননি, ঐতিহাসিক প্রয়োজনের তাগিদেই তাঁকে হিন্দু - মুসলিম এই দুই সম্প্রদায়ের জন্য স্বতন্ত্র সাহিত্য রচনায় আত্মনিয়োগ করতে হয়েছে। কারণ কাব্য রচনার মধ্যে দিয়ে নজরুল শুধু রাজনীতিক লক্ষ্য সাধনের পথ এবং আত্মজাগৃতির পটভূমিই রচনা করতে চাননি, তিনি বাংলার হিন্দু - মুসলমান - এই উভয় সম্প্রদায়ের মনোবিকাশের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।

নজরুল ইসলাম হিন্দু - মুসলিম প্রসঙ্গ ও সম্পর্ককে কবিতায় ব্যবহার করে সংস্কৃতির স্বরুপ ও ঐতিহ্যকে স্বীকার করে তার নবরুপায়ন ঘটালেন। তিনি ধর্ম - জাতি - সম্প্রদায়গত বিভেদ অনৈক্য বিস্মৃত হয়ে মানব ধর্মের বিশাল পটপ্রেক্ষায় সকলকে মিলিত করতে চেয়েছিলেন। আর এইখানেই তাঁর কাব্যে হিন্দু মুসলমান প্রসঙ্গ ব্যবহারের সার্থকতা।' 

তথ্য সূত্র: 

১) নজরুল ইসলাম ও আধুনিক বাংলা কবিতা: মহম্মদ মাহফুজউল্লাহ  
২) আধুনিক বাংলা কাব্যে হিন্দু মুসলমান সম্পর্ক: মোহম্মদ মনিরুজ্জামান
৩) নজরুল ইসলাম কবিমানস ও কবিতা: ধ্রুবকুমার মুখোপাধ্যায় 

 

এ. আই. বাবুন
লেখক, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top