সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১

আজ হুমায়ূন আহমেদের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী


প্রকাশিত:
২০ জুলাই ২০১৯ ০১:১২

আপডেট:
১৫ এপ্রিল ২০২০ ০২:২৬

 

জনপ্রিয় সাহিত্যিক, নাটক-চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে সিঙ্গাপুরে শারীরিক পরীক্ষায় জনপ্রিয় এ লেখকের কোলন ক্যানসার ধরা পড়ে। দশ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর নিউইয়র্কে তিনি মারা যান।মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ নানা আয়োজনে হুমায়ূনকে স্মরণ করবেন ভক্তরা। গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে। নুহাশপল্লীর আশপাশের মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র, পরিবারের সদস্য এবং হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন লেখকসহ পাঁচ শতাধিক লোককে এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, আজ সকাল থেকে আশপাশের মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্ররা নুহাশপল্লীতে কোরআন তেলাওয়াত করবে। পরে তারা কবর জিয়ারত ও দোয়ায় অংশ নেবে। কর্মসূচিতে হুমায়ূনের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিত উপস্থিত থাকবেন।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া গ্রামে ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, নাট্যকার, চলচ্চিত্রকার ও গীতিকার। তাকে আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের পথিকৃৎ বলা হয়। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক থেকে শুরু করে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তার পাঠকপ্রিয় উপন্যাসের মধ্যে রয়েছেÑ ‘নন্দিত নরকে’, ‘শঙ্খলীল কারাগার’, ‘মধ্যাহ্ন’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘মাতাল হাওয়া’ ইত্যাদি।

নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র : ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’, ‘আমার আছে জল’, ‘ঘেঁটুপুত্র কমলা’। নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘এই সব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘আজ রবিবার’, ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, ‘মন্ত্রী মহোদয়ের আগমন’, ‘বৃক্ষমানব’।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top