কুয়েতের আমিরের সঙ্গে মার্কিন-ইরানি কর্মকর্তাদের বৈঠক
প্রকাশিত:
৫ অক্টোবর ২০২০ ২২:৫৫
আপডেট:
২৩ আগস্ট ২০২৫ ০১:৪৩

প্রভাত ফেরী: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কুয়েতের নতুন আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমদ আল-সাবাহ। রবিবার (৪ অক্টোবর) পৃথকভাবে এই দুই দেশের কর্মকর্তারা সাবেক আমিরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই সাক্ষাৎ করেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কুয়েতের সাবেক আমির শেখ সাবাহ আল-আহমদ মৃত্যুবরণ করলে ক্ষমতা গ্রহণ করেন তার ভাই শেখ নাওয়াফ। প্রয়াত আমির প্রতিবেশী সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্কে ভারসাম্য বজায় রেখে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলেন। ১৯৯০-৯১ সালে মার্কিন জোটের নেতৃত্বে কুয়েত দখলমুক্ত হয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার মন্তব্য করেছেন, প্রয়াত আমিরকে মহৎ মানুষ ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে স্মরণ করা হবে। কুয়েতের মিডিয়াগুলো জানিয়েছে, শেখ নাওয়াফ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের সঙ্গেও একই দিন সাক্ষাৎ করেছেন। ইরানি মন্ত্রী প্রয়াত আমিরের প্রশংসা করেছেন।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কুয়েতের নতুন আমির হিসেবে শপথ নিয়েছেন ৮৩ বছরের নাওয়াফ আল-আহমেদ। শপথ গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে দেশের উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
বিশ্বের ষষ্ঠ শীর্ষ তেল মজুতকারী দেশ কুয়েত। দেশটির ৪১ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৩৪ লাখই বিদেশি। বিগত ২৬০ বছর ধরে দেশটি শাসন করছে সাবাহ পরিবার। উপসাগরীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র কুয়েত। দেশটির রাজনৈতিক বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা থাকে আমিরের। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া কিংবা পাল্টে দিয়ে নির্বাচনের ডাক দেওয়ার ক্ষমতাও আমিরের হাতে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: