নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন
প্রকাশিত:
২২ এপ্রিল ২০২২ ০২:১৭
আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৪৭

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন করা হয়েছে। আজ সোমবার নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়। সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান। এ সময়ে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, এমপির প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। দূতাবাসের উপহাইকমিশনার মো. নুরল ইসলাম রাষ্ট্রপতির বাণী ও মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।
হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, 'আমাদের মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে মুজিবনগরে গঠিত অস্থায়ী সরকার যে ঐতিহাসিক ও বীরত্বগাথা ভূমিকা রেখেছে তা ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের একটি স্বাধীন মানচিত্র, স্বাধীন পতাকা এবং সংবিধান উপহার দিয়েছেন। স্বাধীনতা এক দিনে আসেনি। মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী অস্থায়ী সরকারের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ শহীদ ও যে সকল মা-বোনেরা সম্ভ্রম হারিয়েছেন তাদের সবার কাছে জাতি কৃতজ্ঞ। '
তিনি বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে। '
আলোচনা অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব তুলে ধরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যবর্গ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা এবং দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠান হয়।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: