অভিবাসী সংক্রান্ত বিষয়ে তুরস্কের বিরুদ্ধে গ্রীসের অভিযোগ
প্রকাশিত:
১৭ অক্টোবর ২০২২ ১১:১৪
আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৩৯

শনিবার গ্রিসের কর্তৃপক্ষ তুরস্কের বিরুদ্ধে ৯২ জন অভিবাসীকে নগ্ন করে গ্রিসে পাড়ি দিতে বাধ্য করার অভিযোগ তুলেছে। এর আগে গ্রিক সীমান্তরক্ষী এবং ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের কর্মকর্তারা শুক্রবার তুরস্কের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে ইভরোস নদীর তীর থেকে ৯২ জন নগ্ন অভিবাসীকে উদ্ধার করে।
শনিবার গ্রিসের নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় এবং কোনো সরঞ্জাম ছাড়াই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ’
ভুক্তোভোগীদের উদ্ধার করার পর তারা পুলিশ এবং ফ্রন্টেক্সের কর্মকর্তাদের জানায়, তুর্কি কর্তৃপক্ষ তিনটি গাড়িতে করে তাদের ইভরোসে নিয়ে যায়।সেখানে তারা গ্রিস পাড়ি দেওয়ার জন্য জন্য প্লাস্টিকের নৌকায় উঠেছিল। তারা সাক্ষ্য দিয়েছে যে নৌকায় ওঠার আগে তাদের নগ্ন হতে বাধ্য করা হয়েছিল।
উদ্ধারের পর অভিবাসীদের জন্য পোশাক এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রিসের আশ্রয় ও অভিবাসন মন্ত্রণালয় শনিবার বলেছে, তুরস্কের উসকানিমূলক আচরণ সব সীমা অতিক্রম করেছে।
মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, তুরস্ক অভিবাসীদের ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে চলেছে। গ্রিস কার্যকরভাবে তার সীমানা রক্ষা করছে এবং মানবজীবনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছে। কিন্তু তুরস্ক শুধু আন্তর্জাতিক আইনই নয়, মৌলিক মানবিক আচরণকেও উপেক্ষা করছে।
অভিবাসন মন্ত্রী নোটিস মিতারাচি শনিবার তার টুইটারে নগ্ন অভিবাসীদের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। টুইটে তিনি গ্রিক এবং ইংরেজিতে লিখেছেন, ‘আমরা গতকাল সীমান্তে ৯২ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছি। তুরস্ক তাদের প্রতি যে আচরণ করেছে তা সভ্যতার জন্য লজ্জাজনক। আমরা আশা করি তুরস্ক ঘটনার তদন্ত করবে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে তার সীমান্ত রক্ষা করবে। ’
তুরস্ক এবং গ্রিস নিয়মিতভাবে অভিবাসী সংক্রান্ত বিষয়ে একে অপরকে অভিযুক্ত করে থাকে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: