২০২৫ সালে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী নেবে কানাডা
প্রকাশিত:
৩ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৫১
আপডেট:
২৩ আগস্ট ২০২৫ ০৭:১৮

কানাডা ২০২৫ সালে রেকর্ড পাঁচ লাখ নতুন স্থায়ী অভিবাসীকে স্বাগত জানানোর পরিকল্পনা করেছে। কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী শন ফ্রেজার গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তীব্র শ্রমের ঘাটতি মোকাবেলায় আগামী দুই বছর অভিবাসী আগমনের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছে দেশটির সরকার।
কানাডা ২০২৩ সালে চার লাখ ৬৫ হাজার নতুন অভিবাসীকে স্বাগত জানাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এটি আগের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৪ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এই সংখ্যা চার লাখ ৮৫ হাজারে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অভিবাসন মন্ত্রী শন ফ্রেজার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এ বছরের অভিবাসন স্তরের পরিকল্পনা ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় কর্মী খুঁজে পেতে সহায়তা করবে। ’
ফ্রেজার জানান, নতুন এই লক্ষ্যমাত্রার মাধ্যমে কানাডা সহিংসতা ও যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা লোকদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি পূরণে অনুমতি পাবে। কানাডা সরকার শরণার্থীদের সংখ্যা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে দেবে, যা ২০২৩ সালে ২৩ হাজার ৫৫০ থেকে ২০২৫ সালে ১৫ হাজার ২৫-এ দাঁড়াবে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা শরণার্থী পুনর্বাসনের বিষয়ে কানাডার নেতৃত্বকে স্বাগত জানায়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ২০১৫ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে অভিবাসন পরিকল্পনা তীব্রভাবে বাড়িয়েছেন। দেশটি এ বছর চার লাখ ৩১ হাজার নবাগতর লক্ষ্য অতিক্রম করার পথে রয়েছে।
কানাডা শ্রমিকের তীব্র ঘাটতির সঙ্গে লড়াই করছে। বিশেষ করে দক্ষ ব্যবসায় এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো শিল্পে শ্রমিকের প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। সবচেয়ে সাম্প্রতিক চাকরির শূন্যপদের তথ্য থেকে জানা যায়, আগস্ট মাসে কানাডায় ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০টি পদ খালি ছিল। এ সময় ১০ লাখ মানুষ বেকার থাকলেও অনেকেরই সেই উন্মুক্ত পদ পূরণের দক্ষতা নেই কিংবা তারা সঠিক এলাকায় বাস করে না।
নতুন লক্ষ্যগুলো ২০২৩ ও ২০২৫ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক অভিবাসীদের সংখ্যা ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি করবে। এতে তুলনামূলকভাবে প্রধান নগর কেন্দ্রের বাইরের প্রদেশ ও অঞ্চলে মানুষ নিয়ে যেতে সুবিধা হবে।
এদিকে রেকর্ড সংখ্যক কানাডিয়ান এখন অবসরে যাচ্ছেন, সবচেয়ে দক্ষ কর্মীরা ব্যাপক হারে দেশত্যাগ করছেন এবং অনেকে ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে কানাডার বিজনেস কাউন্সিল অর্থনৈতিক অভিবাসনে ‘সাহসী লক্ষ্য’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ মিকাল স্কুটেরুড বলেছেন, অভিবাসন বাড়ানোর অনেক ভালো কারণ রয়েছে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান সুদের হারের সঙ্গে আঁটসাঁট শ্রমবাজার শিথিল হতে পারে এবং নতুনরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বাস্তব সংকটপূর্ণ মুহূর্তে আছি। এখন প্রচুর পরিমাণে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ’
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: