সিডনী মঙ্গলবার, ২১শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


কাতারে ৮ ভারতীয় সাবেক নৌ সেনার মৃত্যুদণ্ড


প্রকাশিত:
২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৩৬

আপডেট:
২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৪১


ভারতের মুম্বাই বন্দরে একটি ভারতীয় নৌযান নোঙর করে রাখা। ছবিটি ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর তোলা। (এএফপি)
ভারতের আট সাবেক নৌ সেনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কাতারের একটি আদালত। কাতারের গোপন খবর তারা ইসরায়েলে পাচার করতেন বলে অভিযোগ। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তারা কাতারের সঙ্গে কথা বলবে। ওই ব্যক্তিদের শাস্তি পরিবর্তনের আবেদনও জানানো হবে।


যে আট ভারতীয়কে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তারা হলেন ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, কম্যান্ডার পুর্ণেন্দু তিওয়ারি, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার বর্মা, কমান্ডার সুগুনাকার পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা, কমান্ডার অমিত নাগপাল এবং নাবিক রাগেশ।

কাতারের একটি বেসরকারি সংস্থা দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটিং সার্ভিসে কাজ করতেন তারা। সামরিক ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর প্রশিক্ষণের কাজ করে এই সংস্থাটি। এই আট ব্যক্তি ওই সংস্থায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করতেন।


গত বছর অগাস্ট মাসে খবর পাচার ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বস্তুত, তাদের গ্রেপ্তারের পরই কাতারে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে আটজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে একই সঙ্গে জানানো হয়েছিল, কাতারের বিচার ব্যবস্থায় ভারত হস্তক্ষেপ করবে না। সম্প্রতি কাতারের আদালত ওই ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।


তার পরই ফের সরব হয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘কাতারের আদালতের রায় শুনে আমরা বিস্মিত। এখনো বিস্তারিত রায়ের কপি আমরা হাতে পাইনি। ওই আট ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কী কী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



কাতারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথাও বলা হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। জানানো হয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টিকে দেখা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ আছে, তা-ও এখনো স্পষ্ট নয়। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য কাতার ভারতকে দেয়নি। ফলে কাতারের কাছে সেই তথ্য চেয়ে পাঠাতে পারে ভারত।

এদিকে এই ঘটনার পর ভারতের বিভিন্ন মহলে আলোড়ন উঠেছে। প্রবীণ রাজনীতিক ও আইনজীবী কপিল সিবল একটি লম্বা বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা উচিত। এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া উচিত। ওই আট ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ কী কী তা অস্পষ্ট বলেও জানান তিনি। বিষয়গুলো দ্রুত জনসমক্ষে আসা উচিত, আর সে জন্যই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন কপিল।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top