সিডনিতে বাংলাদেশী নারীর মৃতদেহ উদ্ধার ও স্বামী গ্রেফতার
প্রকাশিত:
২১ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:২৪
আপডেট:
৭ এপ্রিল ২০২৫ ২০:২৬

আজ ২১ এপ্রিল ২০১৯ রবিবার ভোর চারটার দিকে সিডনির পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা মিন্টোর এক বাড়ি থেকে একজন বাংলাদেশী নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কারাথার্স স্ট্রিটে অবস্থিত বাড়িটিতে তিনি তাঁর স্বামী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, অনুর্ধ্ব পয়ত্রিশ বছর বয়সী ভদ্রমহিলাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশে আজ ভোরবেলায় যখন বাড়িটির গ্যারেজ থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে তখন পরিবারের ছয় বছর এবং দশ বছর বয়সী দুই শিশুসন্তান তাদের বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলো এবং তারা নিরাপদে আছে। বাচ্চা দু’টির ভবিষ্যত পরিণতি বর্তমানে অনিশ্চিত।
পরিবারটির একজন পারিবারিক বন্ধু প্রথম মৃতদেহটি খুঁজে পায় এবং পুলিশকে জানায়। ধারণা করা হচ্ছে ভদ্রমহিলা ছুরির আঘাতে আহত বা নিহত হওয়ার পরেই তাকে ফোন করে বাড়িটিতে ডাকা হয়। তবে স্বামী কিংবা স্ত্রীর মাঝে কে ফোনটি করেছিলেন তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। এর পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়।
এ দম্পত্তির মাঝে কোন ধরণের পারিবারিক সহিংসতা অথবা সংঘাতের কোন পূর্ব ইতিহাস ছিলো না। একই স্ট্রিটে অবস্থিত প্রতিবেশীরা এই অচিন্তনীয় ঘটনায় তাদের বিস্ময় প্রকাশ করেন। তারা জানান, ভদ্রমহিলা ছিলেন তার সন্তানদের প্রতি খুবই যত্নশীল ও মমতাময়ী। প্রতিবেশী এবং পারিবারিক বন্ধু শামসুল হুদা গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি প্রতিদিন নিজে বাচ্চাদেরকে স্কুলে নিয়ে যেতেন এবং নিয়ে আসতেন।
মিন্টোতে অবস্থিত এ বাড়িতে তিনি বাংলাদেশী মিষ্টি বানাতেন এবং তা বিক্রি করে পরিবারের খরচ নির্বাহেও অবদান রাখতেন।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃত ভদ্রমহিলার ৪৯ বছর বয়সী স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনার তদন্তে ক্যাম্পবেলটাউন সিটি পুলিশ এরিয়া কমান্ডের ডিটেকটিভদেরকে পাশাপাশি স্টেট ক্রাইম কমান্ডের হোমিসাইড স্কোয়াডের ডিটেকটিভরাও অংশগ্রহণ করছেন। এ ধরণের ভয়াবহ ও মর্মান্তিক একটি ঘটনার খবর অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে রবিবার সকালেই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা সবাইকে মর্মাহত করেছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: