সিডনিতে নজরুল সুরাঞ্জলি: ‘সুরের ধারা’-এর মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা


প্রকাশিত:
১০ অক্টোবর ২০২৫ ১১:০১

আপডেট:
১০ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৩০

সিডনিতে নজরুল সুরাঞ্জলি: ‘সুরের ধারা’-এর মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
গত শনিবার (৪ অক্টোবর) সিডনির গ্লেনফিল্ড কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হলো “সুরেরধারা”-এর আয়োজনে এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা "নজরুল সুরাঞ্জলি"। অনুষ্ঠানটি ছিল সম্পূর্ণভাবে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর জীবন, গান ও কবিতাকে ঘিরে সাজানো এক শ্রদ্ধার্ঘ্য আয়োজন।
 
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় দুটি কোরাস গান — “ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি” এবং “তোমার বীণা তারের গীতি” দিয়ে। এরপর পর শরদ ও তবলায় ধ্রুপদী যন্ত্রসঙ্গীতের মনোমুগ্ধকর যুগলবন্দী পরিবেশন করেন তানিম হায়াত খান ও অভিজিৎ দান।
 
পরবর্তী অংশে সিডনির সুপরিচিত ও গুণী শিল্পীরা— সারা সিদ্দিকী নায়না, আফরোজা শারমিন পাপড়ি, সাজিয়া হোসেন প্রৈতি, লুবাবা ইসলাম ও তামীমা শাহরীন। নজরুলের একক সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করেন। পাশাপাশি সিডনির বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী মামুন হাসান খান, দুটি নজরুলগীতি পরিবেশন করে শ্রোতাদের হৃদয়ে ছুঁয়ে যান।
 
এছাড়াও সিডনির অত্যন্ত গুণী ও সুপরিচিত নৃত্যশিল্পী অর্পিতা সোম চৌধুরী নজরুলের গানে মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করেন। নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করে শোনান সিডনির অতিপরিচিত আবৃত্তিকার ও নাট্যকর্মী শাহিন সাহনেওয়াজ।
 
অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে নজরুলের অনবদ্য সৃষ্টি “আমি যুগে যুগে আসি আসিয়াছি কোন মহাবিপ্লব হেতু” গানের মাধ্যমে। অনুষ্ঠান জুড়ে সঙ্গত করেন সিডনির প্রতিভাবান যন্ত্রশিল্পী তবলায় অভিজিৎ দান, হারমোনিয়ামে মামুন হাসান খান, গিটারে সোহেল খান, কিবোর্ডে রবিন ভৌমিক এবং মন্দিরায় লোকমান হাকিম। 
 
পুরো অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সঞ্চালনা করেছেন ফারজানা আমবারীন জয়া। তাঁর সাবলীল উপস্থাপনা পুরো অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলে। অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিকল্পনায় ছিলেন সুরেরধারার কর্ণধার মামুন হাসান খান।
 
অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজনের জন্য উপস্থিত সবাই বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান আয়োজক মামুন হাসান খান ও ফারজানা আমবারীন জয়াকে। তাঁদের উদ্যোগ ও ভালোবাসায় গ্লেনফিল্ড কমিউনিটি হল হয়ে উঠেছিল বাংলা সংস্কৃতি আর নজরুলের সুরে সুরমণ্ডিত এক মিলনমেলা।
 
দর্শকদের উচ্ছ্বাস, করতালি ও আবেগে ভরা প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে, ‘নজরুল সুরাঞ্জলি’ শুধুমাত্র একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়—এটি ছিল প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা ও হৃদয়ের সংযোগের এক অসাধারণ উদযাপন। (প্রেস রিলিজ)

বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top