মুসলিম নারীকে আলিঙ্গনের জেসিন্ডার চিত্রকর্ম সরাতে অস্ট্রেলিয়া পিটিশন
প্রকাশিত:
২৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:০২
আপডেট:
৭ এপ্রিল ২০২৫ ২০:১২

গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে জুম্মার নামাজের সময় ভয়াবহ হামলায় ৫০ জন নিহত হন। এরপর নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেন এক মুসলিম নারীকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করেন। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ২৩ মিটার দীর্ঘ মুর্যাল তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেন এক মুসলিম নারীকে আলিঙ্গন করছেন মুর্যালে এই পেইন্টিংটি থাকবে। কিন্তু কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় মুর্যালটি তৈরীর কাজ বন্ধ করতে আবেদনে (পিটিশন) সই করেছেন।
মুসলিমদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেন
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইষ্টচার্চ মসজিদে হামলার ঘটনার স্মরণে অস্ট্রেলিয়ার টিনিং স্ট্রিট সিলোতে ২৩-মিটার দীর্ঘ চিত্রকর্মটি আঁকার পরিকল্পনা করা হয়। ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে পিটিশন করেছে চার্জ ডট অর্গ নামের সংস্থা। তার একে 'মেলবোর্ন সম্পর্কিত নয়' বলে অভিহিত করেছে এবং ১ হাজার ৪শ'রও বেশি লোকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে।
ওই পিটিশনে স্বাক্ষরকারী জেনি ডেভিস বলছেন, এটি (মুর্যাল) অস্ট্রেলিয়ার দরকার নেই। এটা অস্ট্রেলিয়ার কোনো কাজে আসবে না।
গোফান্ডমি নামের একটি সংস্থা মুর্যালটি তৈরী করতে অর্থ সংগ্রহে ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। তারা এ কাজে নিয়োজিত করতে স্ট্রিট আর্টিস্ট লরেট লজিওকে পেইন্টিংটি করতে মেলবোর্নে নিয়ে এসেছেন। এই কাজের জন্য সংস্থাটি ১১ হাজার ডলার সংগ্রহ করেছে।
এর একজন সংগঠক তামারা ভেলট্রে লিখেছেন, 'ওই গুলিবর্ষনের (মসজিদে) পর জেসিন্ডা আরডেন বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে সমস্ত নিউজিল্যান্ডবাসীর পক্ষে তিনি তা করেছেন যা ঘৃণা দ্বারা বিভাজন করা যায় না।
দুবাইয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ বিল্ডিংয়ে শোভা পাচ্ছে সেই অনবদ্য দৃশটি
তিনি বলেন, একজন মুসলিম নারীকে জড়িয়ে ধরা জেসিন্ডার ছবিটি এই বিভাজনের সময়ে সহনশীলতা, ভালবাসা ও শান্তির প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, লরেট লজিও প্রত্যাশা করছেন, আগামী ৩০ মে'র মধ্যে মুর্যালটির কাজ সমাধা করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, লন্ডন এবং ভ্যাঙ্কুভারসহ বিশ্বের অনেক দেশের শহরে লজিওর চিত্রকর্ম দেখতে পাওয়া যায়।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: