`দরিদ্র হয়ে বেঁচে থাকা এবং মারা যাওয়া অভিশাপ'
প্রকাশিত:
৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:১১
আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:০২

প্রভাত ফেরী: ইস্তাম্বুল কর্মসূচির মেয়াদ (২০১১-২০২০) শেষেও ২০২০ সালের মধ্যে এলডিসির (স্বল্পোন্নত দেশ) সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য পূরণ হয়নি। মাত্র চারটি দেশ উত্তরণ লাভ করেছে। বাকি পাঁচটি উত্তরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। বললেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার ইউএনএলডিসি-৫ সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য উচ্চপর্যায়ের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল পর্যালোচনা সভার সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভা অনুষ্ঠিত হয় সুজাইজারল্যান্ডের জেনেভার জাতিসংঘ কার্যালয়ে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক পরিবর্তনে সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। জাতিতে জাতিতে বিভেদ নিরসনে উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশকে পারস্পরিক সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে। কাউকে পেছনে ফেলে নয়, সবাইকে একসঙ্গে নিয়েই উপরে উঠতে হবে। পরে অর্থমন্ত্রী ২০২২ সালের জানুয়ারিতে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশের তকমা কখনোই সম্মানের হতে পারে না। দরিদ্র হয়ে জন্ম নেওয়া অপরাধ নয়, কিন্তু দরিদ্র হয়ে বেঁচে থাকা এবং মারা যাওয়া অভিশাপ। কেননা আমাদের রয়েছে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা।
সভায় মালাউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইজেন হাওয়ার মকাকা, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও হাই রিপ্রেজেনটেটিভ এবং জাতিসংঘের ৫ম এলডিসি সম্মেলনের মহাসচিব কোর্টনিরাট্রে এবং আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল এবং ইএসক্যাপের নির্বাহী সচিব, মিসেস আর্মিদা সালসিয়া আলিস জাহবানসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
বিষয়: অর্থমন্ত্রী
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: