বড় দরপতনে ধরে রাখা গেল না পুঁজিবাজারের উত্থান


প্রকাশিত:
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০৯

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:৫৫

বড় দরপতনে ধরে রাখা গেল না পুঁজিবাজারের উত্থান

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: পুঁজিবাজারের উত্থানে গ্রাহকদের মাঝে আসছিলো আশার আলো। কিন্তু নিভে যেত শুরু করলো সেই আশার আলো। অর্থ্যাৎ পুঁজিবাজারের উত্থান ধরে রাখা গেল না পর পর দুইদিন বড় উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবার দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর আগে পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কাটাতে রেপোর (পুনঃক্রয় চুক্তি) মাধ্যমে অর্থ সরবরাহের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলে সোমবার উভয় বাজারে বড় ধরনের উত্থান হয়।



মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতেও শেয়ারবাজারে উত্থানের আভাস দিচ্ছিল। কিন্তু কিছুক্ষন যেতে না যেতেই ভোজবাজির মতো পাল্টে যায় সবচিত্র। চলতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন। লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় এই পতনের মাত্রা আরও ত্বরান্বিত হয়। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে দরপতন হয় ২১৪টির। আর ৩৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।



বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪১ পয়েন্ট কমে হাজার ৯৫৮ পয়েন্টে নেমে গেছে। অথচ আগের দুই কার্যদিবসের বড় উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১৪০ পয়েন্টের ওপরে বাড়ে। প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি মঙ্গলবার পতন হয়েছে বাকি দুটি সূচকের। এর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ ১২ পয়েন্ট কমে হাজার ১৪৫ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে।



দরপতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪০৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অথচ ঠিক আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৫১৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১১১ কোটি ৭১ লাখ টাকা।



শেয়ারবাজার সূত্রে জানা যায়, সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকার। ১২ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল। ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল টিউবস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, সামিট পাওয়ার, ন্যাশনাল পলিমার এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইং।



অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৯ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৫০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৯টির, কমেছে ১৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top